রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
পটুয়াখালীর বাউফলে নিম্নচাপের প্রভাবে তেঁতুলিয়া, কারখানা ও লোহালিয়া নদীর পানি ৩ থেকে ৪ ফুট বেড়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সৃষ্টি হয়েছে।গত ২৪ জুলাই থেকে টানা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
এর ফলে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, নাজিরপুর, কাছিপাড়া, কেশবপুর ও ধুলিয়া ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। নিচু এলাকার বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট, ফসলি জমি ও পুকুর ডুবে গেছে।
বিশেষ করে তেঁতুলিয়া নদী ঘেরা চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তরাংশে বসতবাড়ি ও কাঁচা রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। দক্ষিণ চরওয়াডেলের খানকা বাজার থেকে হাওলাদার বাড়ি পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি একাধিক স্থানে ভেঙে পড়েছে।
কালাইয়া গ্রামের বাসিন্দা মো. আনোয়ার বলেন, শুক্রবার (২৫ জুলাই) থেকে পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। রাস্তা-ঘাট সব পানির নিচে। বসতঘরেও পানি উঠেছে। সন্তানদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে আছি।
কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের মজিবুর রহমান বলেন, তেঁতুলিয়া নদীর পানি ঢুকে আমাদের আমন বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বীজ পচে যাচ্ছে। এতে করে এলাকায় আমন চাষে বীজ সংকট দেখা দিতে পারে।
চন্দ্রদ্বীপের বাসিন্দা ইমরান হাওলাদার বলেন, আমাদের চারপাশে নদী, কিন্তু বেড়িবাঁধ নেই। ফলে জোয়ারের সময় পানি বাড়িতেই ঢুকে পড়ে। পানির সঙ্গে বিষাক্ত সাপ, পোকামাকড়ও ঢুকে পড়ে। প্রতিদিন আতঙ্কের মধ্যেই কাটছে রাত।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন বলেন, “জোয়ারের পানিতে বীজতলা ও সবজি ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে—এমন খবর পেয়েছি। আমরা মাঠপর্যায়ে কৃষকের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছি।”
বাউফল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটির সদস্য সচিব মস্তফা মাইদুল বলেন, আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিন মনিটর করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত। প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)