বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২


মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, চাপের মুখে বিয়ে

জেলা সংবাদদাতা, নোয়াখালী

প্রকাশিত:২০ আগষ্ট ২০২৫, ১২:৪৫

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে এক মাদরাসাছাত্রীকে টানা তিন দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মসজিদের মুয়াজ্জিন শাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয়দের চাপে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) রাতে অভিযুক্ত মুয়াজ্জিন ও ভুক্তভোগীর ওই মসজিদেই বিয়ে সম্পন্ন হয়।

অভিযুক্ত শাহেদুল ইসলাম নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আবুল কালামের ছেলে ও নামার বাজার মসজিদের মুয়াজ্জিন। এছাড়া তিনি ইসলামি যুব আন্দোলনের নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন কমিটির সদস্য হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী নামার বাজার মহিলা মাদরাসার ছাত্রী। তিনি বলেন, হুজুর আমাকে মসজিদের পাশে তার থাকার রুমে রেখে ধর্ষণ করেছেন। বাড়িতে আসার পর বিষয়টি আমার পরিবারকে জানাই। আমরা গরিব মানুষ। আমার বাবা নাই। এখন সালিশে হুজুর আমাকে বিয়ে করবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আমিরুল ইসলাম বাবলু বলেন, মুয়াজ্জিন সব দায় স্বীকার করেছেন এবং বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন। আর ভুক্তভোগীও বিয়েতে মত দিয়েছেন তাই সামাজিকভাবে বিয়ে হয়েছে। যদি বিয়ে না হয়ে মামলা মোকাদ্দমা হতো তাহলে ওই ছাত্রীর পরিবারের খরচ চালানোর মতো পরিস্থিতি ছিল না। তারা অন্যের সাহায্যে জীবন চালায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিন দিন ধরে ছাত্রীকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে ছাত্রী নিজ বাড়িতে ফিরে এসে জানায়, তাকে মুয়াজ্জিনের কামরায় আটকে রেখে টানা ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা শাহেদুল ইসলামকে আটক করলে তিনি সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন এবং বিয়েতে সম্মত হন। এরপর স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতিতে ছয় লাখ টাকা কাবিনে মসজিদে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

স্থানীয় বিএনপি নেতা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, মেয়েটির বাবা নেই, পরিবার অসহায়। ঘটনাটি অত্যন্ত লজ্জাজনক। তবে ছেলে রাজি হওয়ায় সবার উপস্থিতিতে ছয় লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইসলামি যুব আন্দোলনের নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের সহ-সভাপতি শাহেদ উদ্দিন বলেন, শাহেদুল ইসলাম তিন বছর আগে কমিটির সদস্য ছিলেন। নিষ্ক্রিয় হওয়ায় তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। মুয়াজ্জিনের কাজ অন্যায় ছিল, আমরা তার বিরুদ্ধে ছিলাম। তবে স্থানীয় গণ্যমান্যরা যেভাবে সমাধান করেছেন, আমরা সেটাতে সন্তুষ্ট।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. সুমন বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ নেই। যদি লিখিত অভিযোগ পাই তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:২৯ ভোর
যোহর ১১:৫৪ দুপুর
আছর ০৪:১৯ বিকেল
মাগরিব ০৬.০৫ সন্ধ্যা
এশা ০৭:১৮ রাত

বুধবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫