সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
বগুড়ার শেরপুরে বিক্রির চেষ্টাকালে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ১৯০ কেজি ওজনের মূল্যবান কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ দুই পাচারকারী গ্রেফতার হয়েছে। র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানীর সদস্যরা রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের দক্ষিণ আমইন গ্রামের সোনালী পুকুর পাড়ের মাছের খাদ্য মজুদের মেশিন ঘর থেকে মূর্তিটি উদ্ধার ও দু’জনকে গ্রেফতার করেন।
র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার ফিরোজ আহমেদ সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছেন।
গ্রেফতার দুই পাচারকারী হলেন- বগুড়ার শেরপুর উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের শেরুয়া ফরেষ্টগেট এলাকার মৃত আফাজ উদ্দিন সরকারের ছেলে, পুকুরের লিজ গ্রহিতা আবুল বাশার রুবেল (৫৫) ও তার সহযোগী, সিরাজগঞ্জ সদরের রাঙ্গালিয়াগাঁতি গ্রামের মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক সরকারের ছেলে আল আমিন সরকার (৪৮)।
র্যাব সূত্র ও এলাকাবাসী জানায়, প্রায় এক বছর আগে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের দক্ষিণ আমইন গ্রামের সোনালী পুকুরটি সংস্কার করা হয়। এ সময় আসামিরা পুকুরে ১৯০ কেজি ওজনের মূল্যবান কষ্টি পাথরের মূর্তিটি পান। মূর্তিটি দৈর্ঘ্যে ৫৭ ইঞ্চি ও প্রস্থে ২৪ ইঞ্চি, যার বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।
পরবর্তীতে পুকুরের লিজ গ্রহীতা মূর্তিটি বিক্রির জন্য বিভিন্ন ক্রেতাকে দেখান। এদিকে, র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানীর সদস্যরা গোপনে খবর পেয়ে রবিবার বিকালে ওই গ্রামের পুকুর পাড়ের মাছের খাদ্য মজুদের মেশিন ঘরে মাটির নিচ থেকে মূর্তি উদ্ধার করেন। এ সময় মূর্তিটি বিক্রির চেষ্টাকারী পুকুরের লিজ গ্রহীতা আবুল বাশার রুবেল ও তার সহযোগী আল আমিন সরকারকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানী কমান্ডার, স্কোয়াড্রন লীডার ফিরোজ আহমেদ জানান, উদ্ধার করা মূল্যবান কষ্টি পাথরের মূর্তিটির ওজন প্রায় ১৯০ কেজি। বাজার মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুই পাচারকারী কষ্টি পাথরের মূর্তি হেফাজতে রেখে উচ্চ মূল্য বিক্রি ও পাচারের চেষ্টার কথা স্বীকার করেন।
তাদের মূর্তিসহ শেরপুর থানায় হস্তান্তর ও মামলা হয়েছে। শেরপুর থানার ওসি এসএম মঈনুদ্দীন জানান, গ্রেফতার দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)