বৃহঃস্পতিবার, ২ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২
ফাইল ছবি
সাতক্ষীরা শহরে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রতি ঘটনাতেই কোটি টাকার বেশি মূল্যের স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ লুট হয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন নগরবাসী।
বুধবার (১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে শহরের পুলিশ লাইনস সংলগ্ন মেহেদীবাগ এলাকায় আরটিভির জেলা প্রতিনিধি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীর বাড়িতে চুরি হয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে বের হলে দুর্বৃত্তরা প্রধান গেট ও ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে নগদ ৮ লাখ টাকা ও ৪০ ভরি স্বর্ণালংকারসহ এক কোটি টাকারও বেশি মালামাল লুট করে নেয়।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার পর শহরের উত্তর কাটিয়ায় পিপি চন্দ্র জুয়েলার্সের মালিক গৌতম চন্দ্রের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। পরিবারের সবাই প্রতিমা দর্শনে বাইরে গেলে দুর্বৃত্তরা জানালার গ্রিল ও ঘরের তালা ভেঙে ৬৫ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। লুট হওয়া মালামালের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
গৃহকর্তার ছেলে প্রীতম চন্দ্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কাটিয়া দুর্গা মন্দিরের কাছেই আমাদের বাড়ি। মন্দিরে যখন পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অবস্থান করছিলেন, তখনই এ লুটপাটের ঘটনা ঘটল। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক বলেন, “রাতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। যেহেতু এখন পূজার সময়, এজন্য একটি চক্র এই সুযোগটা নিচ্ছে। আমরা তৎপর রয়েছি এবং চোরদের ধরতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা সবাইকে বলব- কেউ যেন বাড়ি ফাঁকা রেখে কোথাও না যায়। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
পরপর দুই বড় চুরির ঘটনায় সাতক্ষীরা শহরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। উৎসবের সময় বাড়ি ফাঁকা রেখে বাইরে যাওয়ার কারণে চক্রবদ্ধ দুর্বৃত্তরা এ সুযোগ নিচ্ছে বলে ধারণা করছে পুলিশ। এ ঘটনায় স্থানীয়দের দাবি- নগরীতে পুলিশের টহল বাড়ানো, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সিসিটিভি নজরদারি বৃদ্ধি এবং দ্রুত চোরদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)