মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২
ফাইল ছবি
প্রায় ৫৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্ট মো. শামসুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মামলা অনুমোদনের বিষয়টি জানান দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, শামসুর রহমান তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩১ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য প্রদর্শন করেন। কিন্তু যাচাই-বাছাইয়ে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। এছাড়া, পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় হিসেবে ২৯ কোটি ৩২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে তার নিট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
অন্যদিকে, বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় মাত্র ৪১ কোটি ৩৯ লাখ ১৭ হাজার টাকা। ফলে ৫২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের প্রমাণ মেলে।
এছাড়া, তিনি তার দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩৩ কোটি ৫২ লাখ ৪১ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন বলে দুদকে অভিযোগে বলা হয়েছে।
আসামির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)