মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২
ফাইল ছবি
ছোট পর্দার সুপারস্টার থেকে বড় পর্দায় নিজের জায়গা পাকা করেছেন ওপার বাংলার অভিনেতা যীশু সেনগুপ্ত। তবে এই সাফল্যের পথে তাকে পাড়ি দিতে হয়েছে বহু চ্যালেঞ্জ। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই কঠিন সময়ের অভিজ্ঞতাই ভাগ করে নিলেন তিনি।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সময় হতাশা থেকে অভিনয় জগৎ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন যীশু। তবে সেই সময় তাকে মানসিক সমর্থন ও প্রেরণা জুগিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্বয়ং বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন।
টেলিভিশন থেকে সিনেমার জগতে আসার সময়কার চ্যালেঞ্জের কথা প্রায়শই বলে থাকেন যীশু। তবে সবচেয়ে বড় মন খারাপের ঘটনাটি ঘটেছিল কিংবদন্তি পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের সেটে।
যীশু জানান, ২০০৭ সালে ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি ‘দ্য লাস্ট লিয়ার’-এর শুটিংয়ের সময় তার প্রথম দেখা হয় অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে। ছবিতে অমিতাভ অভিনয় করছিলেন একজন মানসিক অসুস্থ থিয়েটার অভিনেতার চরিত্রে এবং যীশু ছিলেন একজন জনপ্রিয় সাংবাদিক।
একটি কঠিন দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের বকাঝকা শুনতে হয় তাকে। যীশুর কথায়, ‘আমার চরিত্রটিতে একটা ‘অ্যাটিটিউড’ দরকার ছিল। রিহার্সালের সময় আমি ভুল করে স্যারের (অমিতাভ বচ্চন) সংলাপও বলে ফেলি। সংলাপ বলার গতিও ছিল তিন গুণ বেশি। ঋতুদা তখন আমাকে বকছিলেন।’
ঠিক তখনই পরিস্থিতি সামাল দেন অমিতাভ বচ্চন। তিনি ঋতুপর্ণ ঘোষকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, ‘তুমি এই ছেলেটাকে বকছো কেন? ও কি অস্বীকার করতে পারে যে, আমি অমিতাভ বচ্চন?’
যীশু সেনগুপ্ত স্বীকার করেন, পরিচালকের ধমক ও নিজের ভুল এতই হতাশ করেছিল যে সে মুহূর্তে তার মনে হয়েছিল, ‘বাড়ি ফিরে গিয়ে অভিনয় ছেড়ে দেব।’ তবে এরপরই বদলে যায় দৃশ্যপট। অমিতাভ বচ্চন নিজে উদ্যোগ নিয়ে প্রায় ৩০ বার তার সঙ্গে রিহার্সাল করেন এবং তাকে সম্পূর্ণ স্বস্তি দেন।
কিন্তু কেন এমন করেছিলেন তিনি? যীশুর এই প্রশ্নের উত্তরে অমিতাভ বচ্চন শাহেনশা বলেছিলেন, ‘যীশু, মন খারাপ কোরো না। আমাদের দুজনেরই নিজস্ব দর্শক আছে, কিন্তু এটা আমার ধাঁচের ছবি নয়। যখন দর্শক ছবিটা দেখতে আসবে, যদি আমি ভালো করি আর তুমি না পারো, তাহলে দৃশ্যটাই কাজে দেবে না, আর সেটা হলে ছবিটাই কাজ করবে না। তাই এটা আমার দায়িত্ব, তোমার পারফরম্যান্সও যেন ভালো হয়।’
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)