শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ হামলার পর ইরান তার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলেছে বলে যে গুঞ্জন চলছে— তা সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন ইসরায়েলের এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ইরানের পরমাণু আগের জায়গাতেই আছে, সরানো হয়নি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলকে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “ইরানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের মজুত ছিল ফারদো, নানতাজ এবং ইসফাহানের স্থাপনাগুলোতে। এই তিনটি স্থাপনাতেই হামলা করেছে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনী। তবে হামলায় স্থাপনাগুলোর উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হলেও ইউরেনিয়ামের মজুতে তার আঁচ লাগেনি এবং আমাদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, এখনও এই তিন স্থাপনা থেকে মজুত সরায়নি ইরান।”
জাতিসংঘের পরমাণু কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রায় ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম মজুত করেছে ইরান এবং এ ইউরেনিয়ামের মান ৬০ শতাংশ। গত ৬ জুন এক বিবৃতিতে আইইএ বলেছিল, ইরানের মজুতকৃত ইউরেনিয়ামের বিশুদ্ধতার মান যদি ৯০ শতাংশে উন্নীতি করা যায়, তাহলে অনায়াসে তা দিয়ে পরমাণু বোমা বানানো সম্ভব।
জাতিসংঘের সংস্থার এই বিবৃতিকে আমলে নিয়ে গত ১২ জুন ইরানে বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। ইরানের পরমাণু প্রকল্প সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ফারদো, নানতাজ ও ইসফাহান— এই ৩ শহরে অবস্থিত। অভিযান শুরুর পর এই স্থাপনাগুলোতে উপর্যুপরি গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধ বিমানগুলো। পরে ২২ জুন মার্কিন বাহিনীও এ তিন স্থাপনাকে লক্ষ্য করে সংক্ষিপ্ত সামরিক অভিযান ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ পরিচালনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপে গত ২৫ জুন থেকে যুদ্ধবিরতিতে যায় ইরান-ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির পর আএইএ-এর মহাপরিচালক ও শীর্ষ নির্বাহী ও মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি দাবি করেন, তেহরান তার পরমাণুর মজুত লুকিয়ে ফেলেছে।
রাফায়েল গ্রোসির এই দাবিতে ইরান সায় দেয়নি, আবার প্রত্যাখ্যানও করেনি। তবে সংঘাতের পর আইএই-এর সঙ্গে সহযোগিতা চুক্তি স্তগিত করেছে তেহরান।
এদিকে, ইরান যেন আর কখনও পরমাণু বোমা তৈরির প্রস্তুতি না নিতে পারে— সেজন্য একটি ধারাবাহিক কর্মসূচি গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে গতকাল বুধবার মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ।
সূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)