সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
ইরান এবং তিন ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন আগামী সপ্তাহে পারমাণবিক আলোচনা পুনরায় শুরু করতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বলে জানা গেছে।
রোববার (২০ জুলাই) তাসনিম সংবাদ সংস্থাকে একটি ওয়াকিবহাল সূত্র জানিয়েছে, আলোচনার সময় ও স্থান নিয়ে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। কোন দেশে আলোচনা অনুষ্ঠিত হতে পারে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
সূত্রটি আরও জানিয়েছে, আলোচনাটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার জার্মান, ফরাসি ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইইউর পররাষ্ট্র নীতি প্রধান কাজা কালাসের সঙ্গে আলোচনা হয় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচির। এরপর আরাঘচি বলেন, ইইউ এবং ইউরোপীয় তিন দেশ যদি আলোচনার কোনো ভূমিকা রাখতে চায়, তবে তাদের হুমকি ও চাপের 'জীর্ণ নীতি' ত্যাগ করতে হবে।
ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য একটি ব্যবস্থা সক্রিয় করার বিষয়ে বারবার ইউরোপীয় হুমকির দিকে ইঙ্গিত করে আরাঘচি বলেন, 'যদি ইইউ/ই৩ একটি ভূমিকা রাখতে চায়, তাহলে তাদের দায়িত্বশীলভাবে কাজ করা উচিত এবং হুমকি ও চাপের জীর্ণ নীতিগুলোকে একপাশে রেখে দেওয়া উচিত, যার মধ্যে 'স্ন্যাপব্যাক'ও অন্তর্ভুক্ত - যার জন্য তাদের কোনো নৈতিক ও আইনি ভিত্তি নেই।'
স্ন্যাপব্যাক ২০০৬ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে গৃহীত ইরান-সম্পর্কিত নিরাপত্তা পরিষদের পূর্ববর্তী ছয়টি প্রস্তাব কার্যকর করবে। এটি জাতিসংঘের মেয়াদোত্তীর্ণ অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করবে, যা দেশগুলোকে ইরানে বেশিরভাগ সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ, বিক্রয় বা স্থানান্তর করতে বাধা দেয় এবং তেহরানকে অস্ত্র রপ্তানি করতে নিষেধ করে। এটি ব্যক্তি, সত্তা এবং ব্যাংকগুলোর ওপর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ এবং অন্যান্য বিধিনিষেধ আরোপ করে।
১৩ জুনের আগে তেহরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র পাঁচ দফা পরোক্ষ আলোচনা করেছে। আলোচনার মাঝেই ইসরায়েলি সরকার ইরানের ওপর বিনা উস্কানিতে আগ্রাসন শুরু করে। এরপর ওমানের মধ্যস্থতায় ১৫ জুনের আসন্ন ষষ্ঠ দফার আলোচনা বাতিল করা হয়।
২২ জুন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘের সনদ এবং অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি লঙ্ঘন করে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দেয়। কিন্তু ইরান মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত সবচেয়ে বড় মার্কিন বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। এরপর থেকে সব পক্ষ হামলা চালানো থেকে বিরত রয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)