রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২


এইচ-১বি ভিসা কী? নতুন ভিসা ফি কাদের জন্য প্রযোজ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৬

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে একের পর এক ‘বিতর্কিত সিদ্ধান্ত’ নিয়েই যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কনীতি বিশ্বে হইচই ফেলে দিয়েছিল। সবশেষ এইচ-১বি ভিসা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত মার্কিন মুলুকের নাগরিকত্ব প্রত্যাশীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর বিভিন্ন ধরনের আমেরিকার ভেতরে-বাইরে যে সমালোচনা বা অন্যান্য দেশের কর্মীদের মনে অনিশ্চয়তার মেঘ জমেছিল তা পরে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে।

কাদের দিতে হবে ১ লাখ ডলার

হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যে কাদের এইচ-১বি ভিসার জন্য বার্ষিক ১ লাখ ডলার দিতে হবে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, এইচ-১বি ভিসা অ্যাপ্লিকেশন যারা করবেন, তাদের ১ লাখ মার্কিন ডলার ফি দিতে হবে। এই নিয়ে সংশয়, জল্পনা শুরু হতেই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই ফি শুধুমাত্র নতুন এইচ-১বি ভিসার আবেদনকারীদেরই দিতে হবে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্য়ারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, যারা আগে থেকেই এইচ-১বি ভিসায় আমেরিকায় রয়েছেন, বা এইচ-১বি ভিসা হোল্ডার কিন্তু বর্তমানে আমেরিকায় নেই, তাদের দেশে এই ফি দিতে হবে না।

প্রতি বছরই কি ফি দিতে হবে?

প্রেস সেক্রেটারি ক্য়ারোলিন লেভিট বলেন, এটা বার্ষিক ফি নয়। এটা এককালীন ফি, যা শুধুমাত্র নতুন যারা এইচ-১বি ভিসার আবেদন করছেন, তাদের উপরে কার্যকর হবে। এইচ-১বি ভিসা যাদের রয়েছে, তারা বাকিদের মতোই দেশের বাইরে যেতে পারবেন এবং ভেতরে আসতে পারবেন। এটা শুধুমাত্র নতুন ভিসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, ভিসা নবায়ন বা বর্তমানে যাদের কাছে এই ভিসা রয়েছে, তাদের ওপর প্রযোজ্য হবে না। পরবর্তী লটারি সাইকেলে যারা নতুন আবেদন করবেন, তাদের ওপরই প্রযোজ্য হবে।

ট্রাম্প ‘অ-অভিবাসী কর্মীর প্রবেশের ওপর বিধিনিষেধ’ সই করার পরই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে এইচ-১বি ভিসা যাদের রয়েছে, তারা আমেরিকা থেকে একবার বের হলে, আবার প্রবেশের জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলার দিতে হবে। ফলে অনেকের চাকরি নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।

জানা গেছে, আমেরিকায় এইচ-১বি ভিসায় কর্মরতদের মধ্যে ৭১ শতাংশই ভারতীয়। এরপর সবথেকে বেশি রয়েছে চীনের নাগরিক। ট্রাম্প প্রশাসনের এই নতুন নিয়মে কোনো আমেরিকান কোম্পানি যদি এইচ-২বি ভিসায় বিদেশি কর্মীকে নিয়োগ করে, তাহলে বার্ষিক ১ লাখ মার্কিন ডলার দিতে হবে। ছয় বছর পর্যন্ত ভিসার মেয়াদের ওপরে এই নিয়ম কার্যকর হবে। তবে হোয়াইট হাউসের বিবৃতির পর স্পষ্ট হলো, ২১ সেপ্টেম্বরের পর যারা নতুন করে এইচ-১বি ভিসায় আবেদন করবেন, তাদের এই ১ লাখ মার্কিন ডলার দিতে হবে। তার আগে যারা আবেদন করে রেখেছেন, তাদের এই ফি দিতে হবে না।

এইচ-১বি ভিসা কী?

এইচ-১বি এক ধরনের অ-অভিবাসী ভিসা। এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দক্ষ কর্মীরা সাময়িকভাবে আমেরিকায় থেকে সেখানকার সংস্থাগুলোর হয়ে কাজ করতে পারেন। প্রাথমিকভাবে এইচ-১বি ভিসার মেয়াদ থাকে তিন বছর। সর্বোচ্চ ৬ বছর পর্যন্ত তা বৃদ্ধি করা যায়। এই সময়ের মধ্যে আমেরিকার গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন কর্মীরা। গ্রিন কার্ড বা স্থায়ী নাগরিকত্ব পেয়ে গেলে এইচ-১বি ভিসার মেয়াদ ইচ্ছামতো বৃদ্ধি করা যায়। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন এ সিদ্ধান্তের ফলে আমেরিকায় গিয়ে নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ কিছুটা জটিল হলো, বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসায় যে ফি আরোপ করা হয়েছে তা অনেকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে মনে করছেন।

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:৩১ ভোর
যোহর ১১:৫২ দুপুর
আছর ০৪:১৫ বিকেল
মাগরিব ০৬.৫৯ সন্ধ্যা
এশা ০৭:১২ রাত

রবিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫