বৃহঃস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ আশ্বিন ১৪৩২
ফাইল ছবি
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের উপকণ্ঠের বারগাম বিমানঘাঁটি দখল করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, এ ঘাঁটিতে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেছ যুক্তরাষ্ট্র। তাই এটি তাদের ফেরত দিতে হবে।
২০২১ সালে তালেবান যোদ্ধারা চারদিক থেকে কাবুলকে ঘিরে ফেললে মার্কিন সেনারা বাগরাম থেকে পালিয়ে যান।
সম্প্রতি ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন যদি আফগানিস্তান এ ঘাঁটি যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে না দেয় তাহলে ‘খারাপ কিছু হবে’।
উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান ফরেন পলিসিতে লিখেছেন, ট্রাম্প যে বারবার বাগরাম ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছেন। তার এ চাওয়াটি বাস্তব। তিনি কোনো ভনিতা করছেন না। তার চাপের কারণে এমন হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র এ ঘাঁটি দখল করে নিতে পারে। অথবা এটি ধ্বংস করে দিতে পারে। যেগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হবে।
এতে করে মার্কিন ও আফগান উভয়ের মধ্যে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটবে। সঙ্গে বন্দি বিনিময় আলোচনা ভেস্তে যেতে পারে।
তিনি বলেছেন, তালেবান সরকার কখনো আলোচনার মাধ্যমে বাগরাম ঘাঁটি ফেরত দেবে না। এটি তার জন্য ‘রেড লাইন’।
গত রোববার এক বিবৃতিতে আফগান তালেবান সরকার জানায়, তারা তাদের দেশে কোনো বিদেশি সেনাকে থাকতে দেবে না। যদিও বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে আমর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চাই। কিন্তু বাগরাম ঘাঁটি নিয়ে কোনো আলোচনাই হবে না।
এই বিশ্লেষক বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি বাগরাম দখল করতে যায় তাহলে এতে চীন ক্ষুব্ধ হবে। চীন এটিকে উস্কানিমূলক কাজ হিসেবে দেখবে। কুগেলম্যান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এ ঘাঁটি ব্যবহার করে ইসলামিক স্টেট খোরাসানকে প্রতিহত করার পরিকল্পনা করছে। কিন্তু তাদের অন্য কোথাও গিয়ে সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করা উচিত।
যুক্তরাষ্ট্র ও আফগানিস্তানের মধ্যে বর্তমানে খুবই সীমিত যোগাযোগ রয়েছে। তবে এটিকেই খুব মূল্যবান হিসেবে দেখা হয়। এই স্বল্প যোগাযোগের মাধ্যমেও দুই দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারবে।
সূত্র: খামা প্রেস
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)