সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ সমস্যা। ধীর পাচনতন্ত্র দিয়ে দিন শুরু করলে তা মেজাজ এবং শক্তির স্তরকে প্রভাবিত করতে পারে। যারা সকালের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য আমাদের কাছে সুসংবাদ আছে! কিছু খাবার আপনার পাচনতন্ত্রকে সচল রাখতে এবং নিয়মিত মলত্যাগ করতে সাহায্য করতে বিস্ময়করভাবে কাজ করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে এমন খাবার সম্পর্কে-
১. ওটমিল
ওটমিল হলো একটি ফাইবার সমৃদ্ধ নাস্তা যা হজমকে উদ্দীপিত করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। এটি দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ফাইবারেই পরিপূর্ণ, যা মলকে প্রচুর পরিমাণে জমাতে সাহায্য করে এবং অন্ত্রের মধ্য দিয়ে মসৃণ, দ্রুত চলাচলে সহায়তা করে। দ্রবণীয় ফাইবার পানি শোষণ করে এবং একটি জেলের মতো পদার্থ তৈরি করে যা মলকে নরম করে। অন্যদিকে অদ্রবণীয় ফাইবার মলকে আরও মৃদু করে তোলে, যা এটিকে সহজে বের করে দেয়।
২. আলুবোখারা
ফাইবার এবং প্রাকৃতিক সরবিটল উপাদানের কারণে আলুবোখারা কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য একটি ক্লাসিক প্রতিকার। সরবিটল হলো এক ধরনের চিনির অ্যালকোহল যার প্রাকৃতিক রেচক প্রভাব রয়েছে, যা মল নরম করতে এবং মলত্যাগকে উৎসাহিত করতে সাহায্য করে। সকালে কয়েকটি আলুবোখারা খেলে তা হজমের ওপর তাৎক্ষণিক প্রভাব ফেলতে পারে।
৩. চিয়া বীজ
চিয়া বীজ ছোট কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষেত্রে শক্তিশালী। এতে প্রচুর ফাইবার থাকে, বিশেষ করে দ্রবণীয় ফাইবার। চিয়া বীজ হাইড্রেটিংও বৃদ্ধি করে, কারণ এটি পানিতে ওজনের ১০ গুণ পর্যন্ত শোষণ করে। তাই নিয়মিত চিয়া বীজ খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৪. আপেল
আপেলে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় উভয় ধরনের ফাইবারের পাশাপাশি পেকটিন নামক এক ধরণের দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যা নিয়মিত মলত্যাগ বজায় রাখতে কাজ করে। আপেলের পেকটিন প্রাকৃতিক মল সফটনার হিসেবে কাজ করে কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে।
৫. সবুজ শাক-সবজি
সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম এবং পানি থাকে, যা হজমে সহায়তা করে। ম্যাগনেসিয়াম পাচনতন্ত্রের পেশীকে সংকুচিত করতে সাহায্য করে, অন্ত্রের গতিবিধি উৎসাহিত করে একটি প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে। সকালের নাস্তায় সবুজ শাক-সবজি খেলে বেশি উপকার পাবেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)