শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে থাকা সম্পত্তি ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করেছে দেশটির ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)। এ তথ্য সামনে আসার পরই নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
পোস্টে জুলকারনাইন লিখেছেন, ‘আমরা যারা সঠিকভাবে সাংবাদিকতা করার চেষ্টা করছি, তারা হয়তো টকশোতে কথার ফুলঝুরি ছোটাতে পারি না, ইউটিউবে গল্প ফাঁদতে পারি না, কিন্তু সন্তুষ্টি লাগে যখন দেখি আমাদের কাজ কথা বলে। এবং সেটা সেই সব লোকের বিরুদ্ধে- যারা প্রচণ্ড ক্ষমতাশালী, বিত্তবান ও দুর্নীতিগ্রস্ত। এটাই আমাদের বিজয় এবং এটাই অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার শক্তি। ’
এর আগে, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যভিত্তিক কয়েকটি সম্পত্তি জব্দ করা খবর প্রকাশ করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার ইনভেস্টিগেটিভ ইউনিট (আই-ইউনিট)।
স্থানীয় সময় বুধবার (১১ জুন) রাতে আই-ইউনিটকে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের এনসিএ জানায়, সাইফুজ্জামান চৌধুরীর মালিকানাধীন একাধিক সম্পদের বিরুদ্ধে তারা ‘ফ্রিজিং অর্ডার’ পেয়েছে, যা এখনো চলমান একটি বেসামরিক তদন্তের অংশ। এই ফ্রিজিং অর্ডারের ফলে সেসব সম্পদ তিনি আর বিক্রি করতে পারবেন না।
সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বর্তমানে বাংলাদেশে মানি লন্ডারিং বা অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্ত চলছে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আইনগত অনুরোধের পরই এনসিএ এই পদক্ষেপ নেয়।
এর আগে আলজাজিরার প্রচারিত তথ্যচিত্র দ্য মিনিস্টার মিলিয়নস-এ সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদের চিত্র প্রথমবার প্রকাশ্যে আসে। সংবাদমাধ্যমটির অনুসন্ধানে উঠে আসে, তিনি যুক্তরাজ্যে ৩৫০টির বেশি সম্পত্তির মালিক। এ ছাড়াও তার লন্ডনের বিলাসবহুল বাসভবন, সেন্ট জনস উড এলাকায় অবস্থিত, যার মূল্য প্রায় এক কোটি ১০ লাখ পাউন্ড (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৪৮ কোটি টাকা), সেটিও এনসিএ-র সম্পদ জব্দের আওতায় পড়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)