সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
জব্দ সম্পদ গোপনে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে গুম-খুনের পলাতক আসামি তারিক আহমেদ সিদ্দিকের বিরুদ্ধের। যিনি গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও গুম-খুনের মাস্টার মাইন্ড হিসেবে অভিযুক্ত। ক্রয় নথির চেয়ে গাজীপুরে তার পরিবারের দখলে থাকা জমি বহুগুণ বেশি। দাম নিয়েও আছে প্রতারণার আভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের ফাওকালে সুরক্ষিত তারিক সিদ্দিকের বাগানবাড়ির ভেতরে ডুপ্লেক্স ভবন, বিশাল পুকুর ও গাছপালা। বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা ও টাকশালের পাশেই তাঁর সম্পদ অন্তত ২২ বিঘা। কিন্তু নথিতে জমি মাত্র পাঁচ বিঘা।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, গাজীপুর সদরের বাঙ্গালগাছায় তারিক সিদ্দিকীর ভাই রফিক সিদ্দিকের নামে আরেকটি বাগানবাড়ি রয়েছে। বিশাল এ বাড়িটি নথিতে ৭৮ শতাংশ হলেও দখলে ১০ গুণেরও বেশি।
গাজীপুরের কানাইয়া ভূমি অফিসের তথ্যমতে, টিউলিপস টেরিটরির ২ একর ৬৩ শতাংশ জমির মালিক তাঁর আরেক ভাই শফিক আহমেদ সিদ্দিক। যা শেখ রেহানার বাড়ি নামেই পরিচিত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নথি বলছে, গাজীপুরে তারিক সিদ্দিকের বাগানবাড়ি দুটি। ঢাকার গুলশানে একটি সাত তলা বাড়ি। বসুন্ধরায় তিনটি প্লট তাঁর ও স্ত্রীর নামে। বারিধারায় চারটি ফ্ল্যাট ও একটি ফ্ল্যাটের একাংশ। গাজীপুরে আরেকটি সাত তলা বাড়ির চার ভাগের এক ভাগ। এ ছাড়াও গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে তারিক দম্পতির ৪৮ বিঘা জমি।
৫ আগস্টের পর গুম-খুনের পতালক আসামি তারেক সিদ্দিকের গাজীপুরের জমি গোপনে বিক্রির কথা জানান স্থানীয়রা।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কোনো সরকারি চাকরিজীবীর এত সম্পদ সন্দেহজনক। এরইমধ্যে জব্দ সম্পদ বিক্রির তথ্য দ্রুত খতিয়ে দেখা দরকার।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)