বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহিত
সাড়ে ৪৭ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের ষোলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজিজুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মায়া ইসলামের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৩ আগস্ট) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আজিজুল ইসলাম ২০১৬ সালে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচনের আগে থেকেই তিনি ব্যবসায়ী হিসেবে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি ও পাইকারি/খুচরা বিক্রি করে আসছিলেন। তার নিজের ও স্ত্রীর নামে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
২০২৩-২৪ করবর্ষে আজিজুল ইসলামের নামে ৩৪ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার ২৮৮ টাকার স্থাবর এবং ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮০২ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ৪৪ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজার ৯০ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। বৈধ আয় ও সঞ্চয়ের তুলনায় তার ব্যয় বেশি হয়েছে ১৭৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮৬ হাজার ৩১৬ টাকা। ব্যাংক ঋণ বাদ দিয়ে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৫ কোটি ৭৭ লাখ ৪৯ হাজার ২২ টাকা।
অপরদিকে, মায়া ইসলামের নামে একই করবর্ষে ১১ কোটি ৩১ লাখ ২২ হাজার ৪০৬ টাকার স্থাবর এবং ১ কোটি ২০ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৬ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ১২ কোটি ৫১ লাখ ৫০ হাজার ২৯২ টাকার সম্পদ পাওয়া যায়। বৈধ আয় ও সঞ্চয়ের তুলনায় তার ব্যয় বেশি হয়েছে ২৮ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ১৫৪ টাকা। ব্যাংক ঋণ বাদ দিয়ে তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১১ কোটি ৭৭ লাখ ৯ হাজার ২৯০ টাকা।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা নিজেদের, স্ত্রী/স্বামী ও সন্তানের নামে এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এসব অবৈধ সম্পদ রূপান্তর, হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছেন। যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দাযের করা হয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)