বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা ওয়াসা ভবনকে শতভাগ ধূমপানমুক্ত ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ওয়াসার বুড়িগঙ্গা হলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন ঢাকা ওয়াসার উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা ওয়াসা ভবনের বুড়িগঙ্গা হলে ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্য রুরাল পুওর (ডরপ) এবং ঢাকা ওয়াসা আয়োজিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে ঢাকা ওয়াসাকে ধূমপানমুক্তকরণ ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ধূমপানের ক্ষতি শুধু ধূমপায়ীর নয়, অধূমপায়ীর জন্যও সমান ঝুঁকিপূর্ণ। ঢাকা ওয়াসা ভবনে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক মানুষ আসেন। এই কর্মস্থলকে ধূমপানমুক্ত করার মাধ্যমে কেবল কর্মীরাই নন, বরং আগত সেবাগ্রহীতাদেরও পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন মোহাম্মদ যোবায়ের হাসান, উপ-নির্বাহী পরিচালক, ডরপ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেবা আফরোজা, প্রকল্প সমন্বয়কারী, তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প, ডরপ।
উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডব্লিউএইচও ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি)-এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের প্রণীত খসড়ার সংশোধনীগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সেগুলো হলো— অধূমপায়ীদের সুরক্ষার জন্য সকল প্রকার পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক পরিবহনে ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান বিলুপ্ত করা, তামাকপণ্যের প্রচার বন্ধের জন্য বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকপণ্যের প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা, তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেটের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শিশু-কিশোর ও তরুণদের রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, তামাকপণ্যের সকল প্রকার খুচরা ও খোলা বিক্রয় বন্ধ করা এবং সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৯০ শতাংশ করা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুস সালাম ব্যাপারী।
অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. মুস্তাফিজুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অর্থ), ঢাকা ওয়াসা এবং ওয়াসার সচিব মো. মশিউর রহমান খান।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা তামাকের স্বাস্থ্যঝুঁকি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োজনীয়তা এবং তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী দ্রুত পাশের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জনস্বার্থে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তাও উল্লেখ করেন তারা।
সভা শেষে ঢাকা ওয়াসা ভবনের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ধূমপানবিরোধী বার্তামূলক সাইনবোর্ড এবং স্টিকার স্থাপন করা হয়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)