বুধবার, ১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। বুধবার (১ অক্টোবর) নারায়ণগঞ্জের চাষাড়ার শ্রী রামকৃষ্ণ মিশনের দুর্গাপূজার নিরাপত্তা পরিদর্শন শেষে কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, উপকূলীয় এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তা দেওয়া, ধর্মীয় উপাসনালয়, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সর্বসাধারণের জান-মাল রক্ষায় গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত হিন্দুধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ধর্মীয় উপাসনালয়সহ পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের প্রতিটি সদস্য। আপনারা জেনে খুশি হবেন, উপকূলীয় এলাকাগুলোর মধ্যে আমাদের ঢাকা জোন ২৫টি, পূর্ব জোন (চট্টগ্রাম) ৫৬টি, পশ্চিম জোন (মোংলা) ৪৪টি ও দক্ষিণ জোন (ভোলা) ৮২টি, সর্বমোট ২০৭টি মন্দির ও পূজামণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে।
কোস্টগার্ড মহাপরিচালক বলেন, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা যেন তাদের ধর্মীয় উৎসবটি শান্তিপূর্ণ, প্রাণবন্ত ও নিরাপদে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছি এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রতিমা বিসর্জনের স্থানগুলোতে সম্ভাব্য দুর্ঘটনা মোকাবিলায় আমাদের বিশেষ ডুবুরি দল সর্বদা প্রস্তুত আছে উল্লেখ করে রিয়ার অ্যাডমিরাল জিয়াউল হক বলেন, নৌ দুর্ঘটনা এড়াতে আমাদের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এবং সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি আমি অনুরোধ করবো, যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে সহায়তা নিতে কোস্টগার্ড জরুরি সেবা নম্বর ১৬১১১-এ যোগাযোগ করুন। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব। আমাদের প্রত্যাশা, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও আনন্দঘন পরিবেশে তাদের ধর্মীয় উৎসবটি উদযাপন করবেন।
তিনি আরও বলেন, কোস্টগার্ডের এ ধরনের জননিরাপত্তামূলক কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)