শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বাংলাদেশ সরকার আগামী বছরের নভেম্বরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এর ফলে দেশের শিল্পখাত বিশেষ করে ওষুধ, গার্মেন্টস ও চামড়াশিল্প বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে বলে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন। এ লেখায় আমি মূলত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের ফলে ওষুধ শিল্পের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে তা তুলে ধরবো।
মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে স্বল্পোন্নত দেশ (Least Developed Country) কাকে বলে এবং ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ’ (LDC Graduation) বলতে কী বোঝায় তা একটু আলোকপাত করা জরুরি। কারণ, এ নিয়ে অনেকের ধারণা স্পষ্ট নয়।
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা প্রণয়ন করে জাতিসংঘ। একটি দেশ ‘স্বল্পোন্নত দেশ’ হিসেবে জাতিসংঘের তালিকাভুক্ত হয় যদি দেশটির—১) তিন বছরের গড় মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় (GNI) ১০৮৮ মার্কিন ডলার বা তার কম হয়,
২) মানব সম্পদ সূচকের (human assets index বা HAI) স্কোর ৬০ বা এর নিচে হয়,
এবং ৩) অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকের (economic and environmental vulnerability index বা EVI) মান ৩৬ বা তার বেশি হয় (সূত্র: unctad.org/topic/least-developed-countries/list)।
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত হওয়া সম্মানের বিষয় নয়। জাতিসংঘের সদস্য ১৯৩টি দেশের মধ্যে বিশ্বের গরিব ও ঝুঁকিপূর্ণ ৪৪টি দেশ এ তালিকাভুক্ত। স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অধিকাংশই আফ্রিকা মহাদেশের। এশিয়ার মাত্র আটটি দেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত। এগুলো হলো বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, নেপাল, ইয়েমেন, লাওস, লেসেতে ও কম্বোডিয়া। ভারত ও পাকিস্তান কখনোই এ তালিকাভুক্ত ছিল না। অনেক দরকষাকষির পর ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘ কর্তৃক এলডিসি’র তালিকাভুক্ত হয়।
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর অধিকাংশই আফ্রিকা মহাদেশের। এশিয়ার মাত্র আটটি দেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত। এগুলো হলো বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, মিয়ানমার, নেপাল, ইয়েমেন, লাওস, লেসেতে ও কম্বোডিয়া।
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত হতে যেমন তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হতে বা এলডিসি থেকে গ্র্যাজুয়েট হতেও তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়—১) মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় ১৩০৬ মার্কিন ডলার বা তার বেশি হতে হয়,
২) মানব সম্পদ সূচকের স্কোর ৬৬ বা তার উপরে হতে হয়
এবং ৩) অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভঙ্গুরতা সূচকের মান ৩২ বা তার নিচে হতে হয় (সূত্র: UNCTAD)।
এ তিনটি শর্তের যেকোনো দুটি পূরণ করলেই কোনো দেশ গৌরবের সাথে এলডিসি তালিকা থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করে।
এলডিসি তালিকা থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করা বেশ সম্মানের কারণ এর ফলে বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়, গরিব বা স্বল্পোন্নত দেশের তকমা থাকে না এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সক্ষমতার কারণে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগের সম্ভাবনা বাড়ে।
দশ বছরে মানুষের মাথাপিছু মোট জাতীয় আয় বৃদ্ধি, মানব সম্পদ সূচকের উন্নতি এবং অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশ দুইবার (২০১৮ ও ২০২১ সালে) এলডিসি তালিকা থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করার বা উত্তরণের শর্ত পূরণ করে। বাংলাদেশের ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে বের হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কারণে প্রস্তুতির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার আরও দুই বছর পিছিয়ে উত্তরণের জন্য ২৪ নভেম্বর ২০২৬ নির্ধারণ করে।
দেশের পট পরিবর্তনের পর প্রথম দিকে অন্তর্বর্তী সরকার এলডিসি থেকে উত্তরণের দিন পিছিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছিল। কিন্তু ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের এক সভায় ‘২০২৬ সালের নভেম্বরেই বাংলাদেশে এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে’—এরকম সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং এলডিসি থেকে উত্তরণের কারণে যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে, তা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশনা প্রদান করেন (প্রথম আলো, ১৪ মার্চ ২০২৫)।
এখন মূল আলোচনায় আসা যাক। বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে দেশের যে কয়টি সেক্টর চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়বে তার মধ্য অন্যতম হলো ওষুধ সেক্টর। এর কারণ হলো, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার কারণে বাংলাদেশ ২০০১ সাল থেকে ‘Compulsory licensing’ এবং ‘Parallel importing’ এর সুবিধা পেয়ে আসছে।
Compulsory licensing- সুবিধার মাধ্যমে বাংলাদেশ কোনো বাধা ছাড়াই প্যাটেন্ট ওষুধের জেনেরিক ভার্সন উৎপাদন, আমদানি ও রপ্তানি করতে পারে। আর parallel importing সুবিধার মাধ্যমে প্যাটেন্টের অধিকারী কোম্পানির অনুমতি ছাড়াই অন্য দেশ থেকে প্যাটেন্ট ওষুধ আমদানি করতে পারে।
বাংলাদেশসহ অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর এ সুবিধা পাওয়ার পেছনে রয়েছে ২০০১ সালে দোহায় বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সব সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক সম্মেলনের মাধ্যমে নেওয়া একটি যুগান্তকারী ও মানবিক সিদ্ধান্ত। যেটি ‘Doha Declaration on the TRIPS Agreement and Public Health’ বা সংক্ষেপে ‘Doha Declaration’ নামে পরিচিত।
আশা ও বাস্তবতার সন্ধিক্ষণে স্বাস্থ্য বাজেট
এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশগুলো ১৯৯৫ সাল থেকে আরোপিত TRIPS (Trade-Related Aspects of Intellectual Property Rights) চুক্তি থেকে মুক্তি দেওয়া হয় যাতে সে দেশগুলো তাদের জনস্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ প্যাটেন্ট প্রটেকশন ছাড়াই উৎপাদন করতে পারে।
বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোর বর্তমান অবস্থা কী?
বাংলাদেশ একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও উচ্চ প্রযুক্তির ওষুধ উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। একসময় দেশের প্রয়োজনের অধিকাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো, এখন দেশের ওষুধের মোট চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশেই উৎপন্ন হচ্ছে। এর পাশাপাশি প্রায় ১৫৬টি দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে। দেশে এখন ক্যান্সার, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসসহ প্রায় সব রোগের ওষুধ এবং কয়েকটি ভ্যাকসিনও উৎপাদিত হচ্ছে।
এ সফলতার পেছনে মূল কারণ তিনটি—১) বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার TRIPS চুক্তির আওতামুক্ত থাকা,
২) ১৯৮২ সালের ড্রাগ অর্ডিন্যান্স এবং ২০০৫ ও ২০১৬ সালের ওষুধনীতি,
৩) ওষুধ প্রস্তুতের জন্য দক্ষ লোকবল অর্থাৎ ফার্মাসিস্টদের পর্যাপ্ত সরবরাহ।
তবে, হতাশার বিষয় হলো ওষুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে থাকলেও, কাঁচামাল উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থা বেশ নাজুক। সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এবং ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী ওষুধ উৎপাদনের কাঁচামালের প্রায় ৯৫ ভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। দেশে মাত্র ৫ ভাগ কাঁচামাল উৎপাদিত হয়। কাঁচামালের প্রায় ৮৫ ভাগই আমদানি হয় ভারত (৪২.৩ শতাংশ) এবং চীন (৪১.৫ শতাংশ) থেকে।
আরেকটি হতাশার বিষয় হলো, দেশের ওষুধ কোম্পানিগুলোর সাথে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা বিষয়ক আন্তঃসম্পর্ক না থাকা এবং নতুন ওষুধ আবিষ্কার বা প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিনিয়োগ না করা। এর ফলে, বাংলাদেশ থেকে এখনো কোনো নতুন ওষুধ আবিষ্কার হয়নি এবং ওষুধ গবেষণা ও উদ্ভাবনের জন্য দক্ষ লোকবল তৈরি হয়নি।
এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে দেশের ওষুধশিল্প ও মানবস্বাস্থ্য কি ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
২০২৬ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হয়ে আসলে TRIPS চুক্তির সব শর্ত প্রযোজ্য হবে, ফলে, প্যাটেন্ট ওষুধ উৎপাদনের জন্য ইনোভেটর কোম্পানিকে প্যাটেন্ট চার্জ প্রদান করতে হবে এবং ওষুধ রপ্তানিতে প্রতিযোগিতা বাড়বে ও ওষুধের কাঁচামাল আমদানি ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। ফলে, অনেক ওষুধের দাম বেড়ে যাবে, রপ্তানি ৬-১৪ শতাংশ কমে যাওয়ার এবং দেশ অনুযায়ী ১২-১৭ শতাংশ শুল্ক বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
১৪ আগস্ট ২০২৫ ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ (আইসিসিবি) আয়োজিত ‘এলডিসি থেকে উত্তরণ: বাংলাদেশের সামনে কিছু বিকল্প’ শীর্ষক একটি সেমিনারে বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি আব্দুল মুক্তাদির আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এলডিসি থেকে উত্তরণ হলে ৬-৭ ডলারের হেপাটাইটিসের টিকার দাম ১ হাজার ডলার হয়ে যাবে (প্রথম আলো, ১৫ আগস্ট ২০২৫)। সেই সেমিনারে The Third World Network (TWN)-এর একজন গবেষক বলেছেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে ডায়াবেটিসের ওষুধ ইনসুলিনের দাম কমপক্ষে ১১ গুণ বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশের মোট ওষুধের প্রায় ২০ শতাংশ বর্তমানে প্যাটেন্টের আওতাভুক্ত। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের ফলে এ ২০ শতাংশ ওষুধের দাম অনেকগুণে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। তখন এসব ওষুধ উৎপাদনের জন্য আবিষ্কারক কোম্পানিকে প্যাটেন্ট ফি দিতে হতে পারে। তবে অনেকে মনে করছেন যে, প্যাটেন্ট ওষুধগুলো বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তৈরি করতে পারছে সে সব ক্ষেত্রে প্যাটেন্ট কিনতে হবে না, কিন্তু এটি নিশ্চিত কিনা তা পরিষ্কার নয়।
ওষুধ কোম্পানিসহ অন্য ব্যবসায়ীরা এলডিসি থেকে উত্তরণ তিন থেকে ছয় বছর পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন যাতে এর মধ্যে বাংলাদেশ উত্তরণের ফলে চ্যালেঞ্জগুলো সামলাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে।
এলডিসি থেকে উত্তরণ কি আসলেই পেছানো সম্ভব?
এলডিসি থেকে উত্তরণ পিছিয়ে দেওয়া কোনো দেশের একক ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে না। উত্তরণের শর্তগুলো পূরণ হলে কোনো না কোনো সময় নিয়ম অনুযায়ী উত্তরণ হতে হবে। তবে কোনো দেশ চাইলে একে পিছিয়ে দেওয়ার জন্য জাতিসংঘ বরাবর আবেদন করতে পারে।
তাই বাংলাদেশ চাইলে এটি পেছাতে পারে তবে, এর জন্য পর্যাপ্ত যুক্তি থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপাল এবং লাও পিডিআর যেহেতু একই সময়ে গ্র্যাজুয়েশন করার কথা, তাদের সাথে যৌথভাবে আবেদন করলে জাতিসংঘ এটি বিবেচনায় নেওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।
এলডিসি থেকে উত্তরণের ধাক্কা সামলাতে ওষুধ কোম্পানিগুলোর কী করণীয়?
এলডিসি থেকে উত্তরণের পর চ্যালেঞ্জসমূহ সামলাতে তিনটি মূল স্টেকহোল্ডার যেমন সরকার, ওষুধ কোম্পানি ও বিশ্ববিদ্যালয়র যৌথভাবে কাজ করতে হবে। মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় কাঁচামাল উৎপাদনের জন্য যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করা হচ্ছে তার কাজ দ্রুত শেষ করতে হবে যাতে ওষুধ কোম্পানিগুলো সেখানে দ্রুত কাঁচামাল উৎপাদনে প্রক্রিয়া শুরু করতে পারে। নতুন ওষুধ ও ওষুধ প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও এ সম্পর্কিত দক্ষ মানবসম্পদ জন্য সরকার সহায়তা দিতে পারে।
ওষুধ কোম্পানিগুলোর উচিত হবে নতুন ওষুধ ও ওষুধ প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বিনিয়োগ বাড়ানো ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে যৌথ গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করা। এতে যেমন নতুন ওষুধ ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন সহজ হবে, তেমনি দক্ষ জনসম্পদ তৈরি হবে। আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উচিত নতুন ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স বিভাগ খুলে শুধুমাত্র ওষুধ আবিষ্কার, ওষুধ প্রস্তুত ও মান নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ফোকাস করা। কারণ, ফার্মেসি একটি রোগীকেন্দ্রিক সাবজেক্ট, তাই বর্তমান ফার্মেসি বিভাগগুলোর সেদিকেই বেশি ফোকাস করা উচিত।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ নিঃসন্দেহে একটি আনন্দের বিষয়। কিন্তু, এর জন্য দরকার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি। ব্যবসায়ীদের মতে বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত নয় এবং সরকারের সহযোগিতাও পর্যাপ্ত নয়। তাই সরকারের উচিত হবে এ বিষয়ে দ্রুত করণীয় ঠিক করা এবং আসন্ন চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা। না হয়, অনেক ওষুধের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকির মধ্যে পড়বে, ওষুধ রপ্তানি ও কাঁচামাল আমদানি ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে।
ড. মো. আজিজুর রহমান : অধ্যাপক, ফার্মেসি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)