সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২


পুরান ঢাকায় আবারও প্রকাশ্যে হত্যা চেষ্টা, এবার রুখে দিল জনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত:১৪ জুলাই ২০২৫, ১২:২৫

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে সোহাগ হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই পুরান ঢাকায় আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটতে যাচ্ছিল। তবে এবার ছাত্র-জনতা ও দায়িত্বশীল পুলিশ সার্জেন্টের তাৎক্ষণিক সাহসী ভূমিকায় প্রাণে রক্ষা পায় এক কিশোর।

রোববার (১৩ জুলাই) রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার দিকে রাজধানীর ওয়ারীর হাটখোলা এলাকায় ইলিশিয়াল ভবনের পেছনের গলিতে ঘটে এ ঘটনা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ৯টার দিকে ১৭ বছর বয়সী কিশোর সৈয়দ রেদোয়ান মাওলানাকে ঘিরে ধরে মারধর করতে থাকে ৬–৭ জনের একটি দল। তারা রেদোয়ানের মাথায় মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকে। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করতে উদ্যত হলে, সেখানে উপস্থিত অন্তত ৫০–৬০ জন সাধারণ মানুষ ও দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট দ্রুত এগিয়ে এসে হামলাটি প্রতিহত করেন।

ঘটনাস্থলেই দুই হামলাকারী- আব্দুর রহিম মাহি (১৯) ও সাব্বির হোসেন রাতুলকে (১৯) আটক করে পুলিশ। তবে বাকি হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ওয়ারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাকারিয়া খান বলেন, আটক দুজনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের দাবি, তারা শিক্ষার্থী এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে। আহত রেদোয়ান ওয়ারীর এম দাস লেনে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে এবং সম্প্রতি এসএসসি পাস করেছে।

তিনি বলেন, রেদোয়ানের মাথায় আঘাত করা হয়েছে, তবে সে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছে। কী কারণে হামলা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাদের একেকজনের বক্তব্য একেক রকম। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, সময়মতো পুলিশ ও জনতা মিলে ঘটনাটি প্রতিরোধ করতে পেরেছে, না হলে বড় কিছু ঘটতে পারত।

ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, হামলাকারীরা নিজেদের শিক্ষার্থী বলছে, আহত ছেলেটিও শিক্ষার্থী। তারা পূর্বপরিচিত ছিল কি না কিংবা কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কি না- সব বিষয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এবার জনতা আর নীরব থাকেনি। সবাই মিলে প্রতিরোধ করেছে।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, আটক দুই যুবককে ঘিরে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলছেন, তোদের মতো লোকদের কারণেই দেশটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। তোদের আর ছাড় নেই।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, যদি সোহাগ হত্যার সময় মানুষ এভাবে এগিয়ে আসত, তাহলে হয়তো সে আজ বেঁচে থাকত। আজ ওয়ারীতে যা হয়েছে, তা পুরো সমাজের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সোহাগকে বাঁচাতে না পারার যে গ্লানি, তা জনতার বিবেক নাড়া দিয়েছে। তাই আজ তারা চুপ করে বসে থাকেনি।

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৩:৫৫ ভোর
যোহর ১২:০৪ দুপুর
আছর ০৪:৪৪ বিকেল
মাগরিব ০৬.৫৩ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১৪ রাত

সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫