বৃহঃস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় গণহত্যার বিচারের দাবি এবং জাতিসংঘের প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগামী তিন মাসের মধ্যে ‘জুলাই রেভুলেশন-২০২৪’ হিসাবে গেজেট নোটিফিকেশন করার নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। মামলাটিকে চলমান মামলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা দেওয়া হয়।
এ তথ্য জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ। তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দপ্তরের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনকে ‘ঐতিহাসিক দলিল’ হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এভিডেন্স (প্রমাণ) হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্ঞান আহরণ বা গবেষণার উদ্দেশ্যে প্রতিবেদনটি কেন সংরক্ষণ করা হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
এ রুলের উপর রায় ঘোষণা করার নির্ধারিত দিন ছিল ৩ আগস্ট। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ সময় চাওয়ায় আজ সেই রায় দিয়েছেন আদালত।
এর আগে ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখা এবং গণহত্যায় (জুলাই-আগস্ট) দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ গত বছরের ১৩ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৫ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দেন। দেশজুড়ে গণ-অভ্যুত্থানের সময় নিরীহ মানুষ হত্যার জন্য অপরাধীদের বিচারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ বিষয়ে রুলে জানতে চাওয়া হয়।
২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ ও গুরুতর আহতসহ অনেক বিক্ষোভকারীর সঙ্গে কথা বলে ইতোমধ্যে প্রতিবেদন দেয় জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরের (ওএইচসিএইচআর) তথ্যানুসন্ধান দল। ওই প্রতিবেদন গত ফেব্রুয়ারি মাসে প্রকাশিত হয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদনটি যুক্ত করে চলতি মাসে সম্পূরক আবেদনটি করেন রিট আবেদনকারী।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)