বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরা বয়সকে যেন তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন। কীভাবে ৫১-তে এসেও ২৫-এর তারুণ্য তার শরীরে ধরে রেখেছেন, সেই রহস্যই জানতে চান অনেকে। তার নাক, চোয়াল ও গাল বেশ ধারালো। কোথাও এক ছিটেফোটাও মেদ নেই। শরীরচর্চা নিয়ে বরাবরই সচেতন অভিনেত্রী। ডায়েটও মানেন। তবে এমন মেদহীন মুখমণ্ডল ও বলিরেখাহীন ত্বক পেতে কার না ভালো লাগে।
কীভাবে তিনি তার এ রহস্য ধরে রেখেছেন তা সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওতে তিনি দেখিয়েছেন। সেই পদ্ধতি নিয়ে মাতামাতি হইচই। অনেকেই মালাইকার শেখানো নিয়মে নিজেরাও করার চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি অভিনেত্রীর ফেস যোগের প্রশিক্ষক বিভূতি অরোরা একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, মালাইকার বেলুন ব্যায়াম, যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে হইচই, সেটি মালাইকার বেশ প্রিয়। তবে সেটি ‘স্ল্যাপিং পিয়ানো এক্সারসাইজ’ নামেই পরিচিত।
বিভূতি বলছেন, ‘মুখের এই ব্যায়াম ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি ও মাংশপেশির শিথিলভাব দূর করে মুখ টানটান রাখে এবং ফোলাভাব কমাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে। এমনকি বরফ পানিতে মুখ ডুবিয়ে আইস ফেসিয়ালের পরিবর্তে মেকআপ করার আগে মুখের এ ব্যায়ামটিও কেউ করতে পারেন বলেই জানান তিনি।
মালাইকার দেখানো বেলুন পোজ কেমন ছিল, সে বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথমে বড় করে শ্বাস নিয়ে বাতাস মুখে ভরে রেখে গাল ফুলিয়ে ঠোঁট দিয়ে চেপে রাখতে হবে। মুখ দেখলে মনে হবে, ফোলা বেলুন। তারপর ঠোঁটে দুটি আঙুল ছোঁয়াতে হবে। আর মুখে বাতাস ধরে রাখার এই পন্থায় মুখমণ্ডলের পেশি সবল ও টানটান থাকে। ফোলা ভাব কমে। বয়স হলে ত্বক শিথিল হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও এতে হ্রাস পায়।
এ ছাড়া দিল্লির চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ বিজয় সিংহল বলেছেন, মুখের ব্যায়াম যে ত্বকের ঔজ্জল্য ধরে রাখে ও মাংসপেশি টানটান রাখতে সাহায্য করে। তিনি বলেন, ‘মুখগহ্বরে বাতাস ভরে ব্যায়ামের এই পন্থায় মুখ কিছুটা বেলুনের মতো দেখায়। খুব সহজ। আবার কিছুটা হাস্যকর মনে হলেও চোয়াল, গাল, ঠোঁট টানটান ও নির্মেদ রাখতে এমন ব্যায়াম সাহায্য করে।
এদিকে ফেসিয়াল যোগের প্রশিক্ষক ও রূপবিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত মুখের ব্যায়াম অভ্যাস করলে ফিরতে পারে ত্বকের দীপ্তি। প্রতিরোধ করা যায় অকাল বার্ধক্য। বয়স হলেও ত্বক থাকতে পারে টানটান, নির্মেদ ও বলিরেখাহীন। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে— কোনো বাড়তি খরচ ছাড়া সহজ কৌশলে সৌন্দর্য অটুট রাখার পন্থা এটি।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)