সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
বাউল সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী ফরিদা পারভীন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করলে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এরই মাঝে খবর ছড়িয়েছে, অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না ফরিদা পারভীন। সত্যি কী অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন ফরিদা পারভীন? এ নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন বরেণ্য এই শিল্পীর ছেলে ইমাম জাফর নোমানি।
নোমানি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমরা যে কজন ভাইবোন আছি। আমরা ওয়েল এস্টাবলিশ। আমরা আমাদের মায়ের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে সক্ষম। আর আমরা যদি চিকিৎসা ব্যয়বহন নাও করি তাহলে আমার মায়ের যে টাকা-পয়সা আছে। তা দিয়েও চিকিৎসার ব্যয়বার বহন করতে সক্ষম।’
নোমানি উল্লেখ করেন,‘শুধু তাই নয়, তাকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনার জন্য আমরা ও আমাদের ওয়াইফ, আমাদের বোন ও বোনের স্বামী সবাই সার্বক্ষণিক তার পাশে আছি। আসলে আম্মার শরীর খারাপ অনেক দিন ধরেই। সেই ২০১৯ সাল থেকেই তার কিডনির সমস্যা। অনেক দিন ধরেই চিকিৎসা নিচ্চিলেন। এখন ডায়ালাইসিস নেওয়ার শুরুর পর থেকেই তার শরীরটা খারাপ হয়ে পড়ে।’
নোমানি আরও যোগ করেন, ‘তার অসুস্থতার খবর শুনে উপদেষ্টা থেকে শুরু করে আমাদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয় থেকেও যোগাযোগ করা হয়েছে যে, তার চিকিৎসায় কোনো আর্থিক হেল্প লাগবে কিনা। এটা জানার পর ফরিদা পারভীন আমার আম্মা জানিয়েছেন তিনি এ ধরণের কোনো সহযোগিতা নিতে চান না।’
সবশষ নোমানি বলেন, ‘কাজেই যারা ছড়াচ্ছেন ফরিদা পারভীন টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না এটা কতটা সঠিক- চিন্তার বিষয়। তবে আপাতত সবাই শিল্পীর জন্য দোয়া করবেন। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে নিজ অঙ্গনে ফিরুক।’
উল্লেখ্য, সংগীতাঙ্গনে অনন্য অবদান রাখা ফরিদা পারভীনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত ও সহশিল্পীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। সবাই তার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছেন।
লালন সংগীতের প্রচারে ফরিদার ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তার গাওয়া ‘নারী আমার জানে দুঃখের ভাষা’, ‘তোমার বাঁশিতে’, ‘ভ্রমর কইও গিয়া’ প্রভৃতি গান মানুষের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)