শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫, ১ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
ব্যান্ডসংগীত জগতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু। আজ তার জন্মদিন। ১৯৬২ সালের এই দিনে (১৬ আগস্ট) চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন গিটারের জাদুকরখ্যাত প্রয়াত এ ব্যান্ড সংগীতশিল্পী। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর হঠাৎ ভক্তদের কাঁদিয়ে চলে যান না ফেরার দেশে। বেঁচে থাকলে হয়তো আজ ৬৩ বছরে পা রাখতেন এ রকস্টার।
আজ হাজারো ভক্ত-অনুরাগী নানাভাবে স্মরণ করছেন এ ব্যান্ড সংগীতশিল্পীকে। তিনি না থাকলেও তার রেখে যাওয়া সুর, গান আর রুপালি গিটার আজও হয়ে উঠেছে কয়েক প্রজন্মের অনুপ্রেরণা। শুধু ব্যান্ডসংগীতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না আইয়ুব বাচ্চু। ছিলেন একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। আধুনিক গান, লোকগীতি কিংবা সিনেমায় প্লেব্যাকের গান— সবখানেই রেখেছেন নিজের স্বাক্ষর।
তারকা খ্যাতির শীর্ষে থেকেও আইয়ুব বাচ্চু ছিলেন সাধারণের নাগালের মধ্যে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি চেয়েছিলেন একজন ‘ভালো মানুষ’ হয়ে বেঁচে থাকতে। তাই তার মৃত্যুর পর শুধু সংগীতাঙ্গন নয়, কেঁদেছিল পুরো জাতি। অনুরাগীদের কাছে তিনি শুধু একজন সংগীতশিল্পী নন, ছিলেন এক জাদুকর, যিনি গিটারের তারে এঁকে দিতেন জীবনের গল্প।
আইয়ুব বাচ্চু ‘এলআরবি’ ব্যান্ড দল প্রতিষ্ঠা করে উপহার দিয়েছেন অসংখ্য জনপ্রিয় গান। তার কণ্ঠে গাওয়া ‘ফেরারি মন’, ‘চলো বদলে যাই’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’, ‘রুপালি গিটার’, ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি’— এসব গান যেন ‘চিরসবুজ’ হিসেবে পরিণত হয়েছে, যা চলছে কয়েক প্রজন্ম ধরেই। তার হাত ধরেই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যান্ডসংগীত এক নতুনমাত্রা পেয়েছিল, যা বাংলাদেশে ব্যান্ডসংগীতকে জনপ্রিয় ও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে এক অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তিনি।
ব্যান্ডসংগীতের পাশাপাশি একক ক্যারিয়ারেও আইয়ুব বাচ্চু পেয়েছিলেন আকাশছোঁয়া সাফল্য। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’ ও দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’ দিয়ে শুরু হয় সেই যাত্রা। এরপর এলআরবি ১৯৯২ সালে প্রকাশ করে দেশের প্রথম ডাবল অ্যালবাম ‘এলআরবি ১’ এবং ‘এলআরবি ২’। আর ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত ‘সুখ’ অ্যালবাম হয়ে ওঠে সর্বকালের অন্যতম সফল অ্যালবাম।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)