মঙ্গলবার, ৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
নিজেদের শিল্পোৎপাদনের জন্য খনিজ কাঁচামালের সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখতে বিশ্বজুড়ে একের পর এক খনি কিনে চলেছে চীন। ব্রিটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১২ বছরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অন্তত ১০টি খনি কিনেছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন চীনা কোম্পান। প্রতিটি খনির দাম পড়েছে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি।
চীনের কেনা খনিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যগুলো হলো কাজাখস্তান, ঘানা ও আইভরি কোস্ট— এই তিন দেশের তিনটি স্বর্ণের খনি, জাম্বিয়ায় একটি দস্তার খনি, ব্রাজিলে একটি দস্তা ও একটি স্বর্ণের খনি এবং তানজানিয়ায় একটি বিরল খনিজ পদার্থের খনির ৫০ শতাংশ শেয়ার।
“চীনের একের পর এক খনি কেনার প্রবাণতা ক্ষয়িষ্ণু ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে, যে পরিস্থিতির কারণে বেইজিং কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশে বিনিয়োগ করতে পারছে না।”
প্রসঙ্গত, বিরল খনিজ উপাদান পরিশোধন খাতে বর্তমানে বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন। বর্তমানে বিশ্বের ৯০ শতাংশ পরিশোধিত বিরল খনিজ পদার্থ আসে চীন থেকে।
এছাড়া খনিজ সম্পদের নিরাপত্তাকে বর্তমানে জাতীয় নীতির পর্যায়ে উন্নীত করেছে বেইজিং। এমন একটি সময়ে চীন এ নীতি প্রণয়ন করেছে, যখন বিশ্বজুড়ে লিথিয়াম, কোবাল্ট, নিকেলসহ বিভিন্ন খনিজের দাম বাড়ছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য চীনের এই কার্যক্রম সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এবং প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে চীনের খনি ক্রয়ের পথে বাধা তৈরি করছেন তিনি। এছাড়া গত মাসে রুয়ান্ডা ও ডিআর কঙ্গোর সঙ্গে খনিজ সম্পদ উত্তোলন বিষয়ক অংশীদারিত্ব চুক্তিও করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
সূত্র : আরটি
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)