মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে ৫০ দিনের মধ্যে রাশিয়া চুক্তি করতে রাজি না হলে ‘খুবই মারাত্মক’ শুল্কের মুখে পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজে সোমবার ন্যাটো জোটের মহাসচিব মার্ক রুত্তের সঙ্গে বৈঠককালে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আমি রাশিয়ার ওপর একেবারেই খুশি নই। ৫০ দিনের মধ্যে চুক্তি করতে না পারলে আমরা খুবই চড়া শুল্ক আরোপ করব।
রাশিয়ার ব্যবসায়িক অংশীদারদের ওপর এই সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ হবে জানিয়ে ট্রাম্প বলেন, এই শুল্ক হবে ১০০ শতাংশ।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চুক্তি কয়েকমাস আগেই হয়ে যেত বলে ট্রাম্প ভেবেছিলেন। কিন্তু তা-না হওয়ায় ট্রাম্প জানান, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিয়ে হতাশ।
এ পরিস্থিতির ভিত্তিতেই যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক চাপাতে চলেছে, বলেন ট্রাম্প। এই শুল্ক আরোপ হবে সেইসব দেশ এবং প্রতিষ্ঠানের ওপর যারা রাশিয়ার রপ্তানি পণ্য কেনে।
ফলে এই শুল্কের প্রভাবে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে চীন, ভারত, ব্রাজিল ও তুরস্কের মতো দেশগুলোকে, যারা তাদের জ্বালানি প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল।
ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধের মধ্যে মস্কোর বিরুদ্ধে সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপে ট্রাম্পের এই হুমকি এটিই প্রথম নয়। তবে এবার ট্রাম্প এই হুমকির সঙ্গে রাশিয়াকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।
একইসঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে নিয়ে তার বাড়তে থাকা হতাশাও প্রকাশ করেছেন। এর আগে গত মার্চে ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন।
তখন তিনি বলেছিলেন, রাশিয়া আর আমি ইউক্রেইনে রক্তক্ষয় বন্ধে চুক্তি করতে না পারলে... এবং আমি যদি মনে করি রাশিয়ার দোষে চুক্তি হচ্ছে না।
তাহলে রাশিয়ার তেলের ওপর সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপ করব। রাশিয়া থেকে যেসব তেল বাইরে যাচ্ছে তার ওপর।
তবে এবার ট্রাম্পের সেকেন্ডারি শুল্ক আরোপের হুমকিতে রাশিয়ার কোন পণ্যগুলো পড়বে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)