শুক্রবার, ১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহিত
২০২৩ সালে ইমরান খানের সমর্থনে দেশব্যাপী বিক্ষোভের জন্য বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) পাকিস্তানের সংসদের বিরোধীদলীয় নেতাসহ ১০০ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
ইমরানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ছয় সংসদ সদস্য, একজন সিনেটর এবং একজন প্রাদেশিক এমপিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এর এক সপ্তাহ পরে আরও বেশ কয়েকজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে জাতীয় পরিষদের বিরোধীদলীয় নেতা ওমর আইয়ুব খানও আছেন, যিনি বিক্ষোভে অংশ নেননি।
পূর্বাঞ্চলীয় শহর ফয়সালাবাদের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত তাকে সহিংসতায় মদত দেওয়া এবং দাঙ্গা ও অগ্নিসংযোগের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
পিটিআই চেয়ারম্যান গোহর আলী খান সাংবাদিকদের বলেছেন, 'আমরা উচ্চ আদালতে এটিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে যাচ্ছি। এই ধরনের রায় গণতন্ত্র এবং সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য খারাপ।'
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, বিচার চলাকালীন দলের কর্মকর্তারা জামিনে ছিলেন এবং এখনো তাদের কারাগারে নেওয়া হয়নি।
৯ মে পানিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ইমরান খানকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গ্রেপ্তার করার পর দেশব্যাপী বিক্ষোভ শুরু হয়। সে সময় সংবেদনশীল স্থাপনাগুতে বিক্ষোভ ও সহিংসতার অভিযোগ আনা হয়।
২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকা ইমরান মনে করেন, তাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে প্রায় দুই বছর ধরে কারাগারে রাখ হয়েছে।
তার সমর্থক এবং দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং টেলিভিশন থেকে ইমরানের নামও সেন্সর করা হয়েছে।
পিটিআই-এর লন্ডন-ভিত্তিক মুখপাত্র সৈয়দ জুলফিকার বুখারি বলেছেন, সর্বশেষ সাজাগুলো 'গণতন্ত্রের জন্য একটি কালো দিন। একের পর এক বিরোধী নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করা কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য শুভ লক্ষণ নয়। এটি আমাদের ইতোমধ্যেই ভঙ্গুর থাকা গণতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।'
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)