বৃহঃস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন তিনি ছয় মাসে ছয়টি যুদ্ধ শেষ করেছেন। নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্যও মনোনয়ন চেয়েছেন। কিন্তু এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক দক্ষতা নিয়ে সন্তুষ্ট নন খোদ আমেরিকানরা।
একটি রেটিং ট্র্যাক করে ট্রাম্পের প্রতি মার্কিনিদের সমর্থন শনাক্ত করা হয়েছে। যেখানে দেখা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ট্রাম্পের বিদেশ নীতির প্রতি মার্কিনিদের সমর্থন বেশি ছিল। তখন রেটিং ছিল ২।
কিন্তু চলতি সপ্তাহে নতুন জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের বিদেশ নীতির প্রতি মানুষের সমর্থনের রেটিং মাইনাস ১৪। এই জরিপ শুরু হয় আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের দিন। আর শেষ হয় হোয়াইট হাউসে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর।
অধিকাংশ আমেরিকান মনে করছেন ট্রাম্প বিদেশি নেতাদের সঙ্গে কার্যকরভাবে আলোচনা করতে পারছেন না। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মাত্র ৩২ শতাংশ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টরা যুদ্ধ শেষ করার দিকে কিছু অগ্রগতি এনেছেন। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত মোকাবিলায় ট্রাম্পের নিট অনুমোদনের হার মাইনাস ১০।
নিট অনুমোদন হার হলো রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে চালানো জনমতে সমর্থন ও বিরোধের হিসাব। সমর্থন ও বিরোধের পক্ষে পড়া ভোট হিসাব করে এই নিট অনুমোদন হার বের করা হয়। ট্রাম্প সম্পর্কিত জনমতের তথ্য ইউগভ ডটকম থেকে নিয়েছে ইকোনমিস্ট। ইউগভ হলো বৈশ্বিক জনমত যাচাইয়ের একটি প্ল্যাটফর্ম।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউগভের ওয়েবসাইটে প্রতি সপ্তাহেই তাঁকে নিয়ে জনমত ট্র্যাক করে ইকোনমিস্ট। সেখানে আমেরিকানদের উদ্দেশে প্রশ্ন করা হয়, তারা প্রেসিডেন্টের নেওয়া পদক্ষেপগুলো সমর্থন করেন কি না। ফলাফল চার্টে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রেসিডেন্টের তুলনায় ট্রাম্পের পক্ষে সমর্থন নিয়মিত ওঠা নামা করছে।
ট্রাম্পের অভিষেকের সময় তার নেওয়া অর্থনীতি সংক্রান্ত পদক্ষেপের ওপর রেটিং বেশি ইতিবাচক ছিল। কিন্তু বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু এবং বিনিয়োগকারীদের প্রতিক্রিয়ার পর তা কমতে শুরু করে। ইউগভের তথ্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, আমেরিকানরা এখন ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির প্রতিও অসমর্থন জানাচ্ছেন।
ইউগভের তথ্য ব্যবহার করে ইকোনমিস্ট অঙ্গরাজ্যভিত্তিক সমর্থনের হারও বের করেছে। সেখানে দেখা যায়, যেসব অঙ্গরাজ্য ডেমোক্র্যাটের ঘাঁটি সেখানে সমর্থন কম। আবার যেসব রাজ্য রিপাবলিকানদের ঘাঁটি সেখানে সমর্থন বেশি। তবে এর বাইরের অঙ্গরাজ্যগুলোতে ট্রাম্পের প্রতি অসন্তোষ ব্যাপক। গত নির্বাচনে দুই দলের ঘাঁটির বাইরের অঙ্গরাজ্যগুলোই ট্রাম্পের জয়ে ভূমিকা রেখেছিল।
তথ্যসূত্র: ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)