বৃহঃস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহিত
চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে আগামী ৩ সেপ্টেম্বরের সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। ছয় বছর পর এটি তার প্রথম বেইজিং সফর।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চীন-জাপান যুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বিজয় দিবস’ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ ২৬ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
প্রথমবারের মতো চীনা সামরিক বাহিনীর নতুন কাঠামো সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরা হবে এই কুচকাওয়াজে। শত শত যুদ্ধবিমান, ট্যাঙ্ক ও ড্রোন প্রতিরোধ ব্যবস্থা প্রদর্শনের পাশাপাশি অংশ নেবেন হাজার হাজার সেনা। তিয়েনআনমেন স্কোয়ারের মধ্য দিয়ে সুশৃঙ্খলভাবে অগ্রসর হবেন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা। এতে চীনের কথিত ৪৫টি ‘ইচেলন’ থেকে সেনা এবং সাবেক যোদ্ধারাও থাকবেন।
৭০ মিনিটব্যাপী এই মহড়ার ওপর পশ্চিমা শক্তি ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের নিবিড় নজর থাকবে। বেইজিংয়ের কেন্দ্রস্থলে আয়োজিত এই কুচকাওয়াজে শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে কিম জং উনের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে আলোকচিত্রীদের জন্য বড় আকর্ষণ হবে। একই সঙ্গে এটি চীনা প্রেসিডেন্ট শির জন্য একটি কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হবে।
এদিকে ইউক্রেইন যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত সপ্তাহে তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, কিম জং উনের সঙ্গে আবারও সাক্ষাৎ করতে চান। তবে এর মধ্যেই শি জিনপিং বার্তা দিতে চাইছেন যে ভূরাজনৈতিক খেলায় প্রধান নিয়ন্ত্রণ তার হাতেই এবং কিম ও পুতিন উভয়ের ওপর তার প্রভাব রয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, সময়টিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হোয়াইট হাউস ইঙ্গিত দিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অক্টোবরের শেষে ওই অঞ্চলে সফরে যেতে পারেন এবং শির সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহও প্রকাশ করেছেন। শি জিনপিং তার আগে কিম ও পুতিনের সঙ্গে আলোচনা সেরে নেবেন, যাতে বোঝানো যায় তাকে পাশ কাটিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ২০১৯ সালে শেষবার বেইজিং গিয়েছিলেন। তখন চীন-উত্তর কোরিয়া কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। এর আগে ২০১৮ সালে তিনি তিনবার বেইজিং সফর করেছিলেন। বিদেশ সফর খুব কমই করেন বলে এটিকে তার জন্য ব্যতিক্রমী ব্যস্ত বছর হিসেবে ধরা হয়েছিল।
এ সপ্তাহের শুরুতে জাপান তার ইউরোপীয় ও এশীয় মিত্রদের চীনের এই কুচকাওয়াজে অংশ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। তবে ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে মতপার্থক্যের কারণে অনেক পশ্চিমা নেতা এ আয়োজনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)