বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২


কাতার প্রধানমন্ত্রী

ইসরায়েলের হামলায় কাতারের কূটনীতি প্রতিহত হবে না  

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৪৮

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসন বন্ধে যে কূটনৈতিক তৎপরতা চলছিল, কাতারে সাম্প্রতিক হামলায় তা খানিকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে; তবে এ ঘটনা দোহার কূটনৈতিক তৎপরতাকে প্রতিহত করতে পারবে না বলে ঘোষণা করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরাহমান বিন জসিম আল থানি।

গত কাল মঙ্গলবার হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এক ব্রিফিংয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গাজায় আগ্রাসন বন্ধে যে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু হয়েছিল, আজকের হামলায় তাতে খানিকটা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে কাতারের কূটনীতি ইসরায়েলের মতো দেশগুলোর আচরণের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়নি। কাতারের কূটনৈতিক তৎপরতা কাতারের নিজস্ব পরিচয়ের অংশ এবং আজকের হামলা এই আমাদের কূটনৈতিক তৎপরতাকে প্রতিহত করতে পারবে না।”

গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য সম্প্রতি একটি খসড়া প্রস্তাব গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের কাছে পাঠিয়েছেন ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহার আবাসিক এলাকার একটি ভবনে সেই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন হামাসের অন্যতম শীর্ষ নেতা ও মুখপাত্র খলিল আল হায়াসহ হাইকমান্ডের অন্যান্য সদস্যরা।

তাদের এই আলোচনার মধ্যেই সেই ভবনটিকে লক্ষ্য বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। এতে অন্তত ৬ জন নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে হামাস জানিয়েছে যে নিহতদের মধ্যে গোষ্ঠীটির উচ্চ পর্যায়ের কোনো নেতা নেই। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ হামলাকে ‘কাপুরুষোচিত’ বলে উল্লেখ করেছে।

সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরাহমান বিন জসিম বলেন, “এই হামলা এবং এতে যাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে— এটা শুধু আন্তর্জাতিক আইনেরই নয়, নৈতিক মানদণ্ডেরও পুরোপুরি লঙ্ঘন। একটি মধ্যস্থতাকারী দেশে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে এবং সেখানে অকস্মাৎ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হলো। কোন নৈতিক মানদণ্ডের অধীনে এটা গ্রহণযোগ্য?”

“তবে আমরা ভয় পাইনি। মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের স্থিতিশীলতা এবং এই অঞ্চলে বসবাসরত জনগণের শান্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাতার কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে।”

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশে ২০১৭ সাল থেকে কাতারে বসবাস করছেন হামাসের হাইকমান্ডের নেতারা। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের শীর্ষ তিন মধ্যস্থতাকারী দেশের মধ্যে কাতার অন্যতম। বাকি দুই দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য হামলার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর একক সিদ্ধান্তে এ হামলা হয়েছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

সূত্র : সিএনএন

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:২৬ ভোর
যোহর ১২:৫৬ দুপুর
আছর ০৪:২৩ বিকেল
মাগরিব ০৬.১১ সন্ধ্যা
এশা ০৭:২৪ রাত

বুধবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫