বৃহঃস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
রাজধানীর উত্তরায় র্যাব পরিচয়ে কোটি টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত গাড়িও উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিএমপির উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. মুহিদুল ইসলাম জানান, সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত গাড়ীর নাম্বার ধরে চাঞ্চল্যকর এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের নাম পরিচয় জানাতে পারেননি তিনি।
এ ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (১৪ জুন) সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে উত্তরা ১৩ নং সেক্টরের ১২ নং রোডে স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের এমডি আব্দুল খালেক নয়নের বাসা (৩৭ নং বাসা) থেকে দুটি ব্যাগে ভরে দুটি মোটরসাইকেলে করে ১ কোটি ২২ লাখ ৯৮ হাজার টাকা নিয়ে রওনা দেন চারজন। গন্তব্য উত্তরা ১৩ সেক্টরের ১৩ নং রোডের ৪৯ নং বাসা, যেখানে উত্তরার নগদের ডিস্ট্রিবিউটরের অফিস। কিন্তু উত্তরা ১৩ সেক্টরের ১৩ নং রোডের ৩৭ নং বাসার সামনে বাম পাশে পৌঁছাতেই আগে থেকেই অবস্থান নেওয়া কালো রঙের হাইস গাড়ি দুটি মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে। পরে র্যাব পরিচয়ে ও র্যাবের কালো কটি পরিহিত ৮ থেকে ১০ জন অস্ত্রের মুখে চারজনকে জিম্মি করে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
অনেকটা ফিল্মি স্টাইলেই কালো কাপড়ে ছিনতাইকারীদের মুখ ছিল ঢাকা। অস্ত্রের মুখে তিনজনকে টাকার ব্যাগসহ গাড়িতে ওঠানো হয়। একজন দৌড়ে পালাতে সক্ষম হন। যদিও তার কাছে থাকা ব্যাগে ছিল মাত্র ১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা।
উত্তরার নগদের ডিস্ট্রিবিউটরের অফিস সূত্রে জানা যায়, ওই দিন ছিনতাই হয়েছে তুরাগ ও উত্তরা ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের টাকা।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ ছাড়াও তদন্ত করছে ডিবি পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো-উত্তর ও পুলিশের এলিট ফোর্স র্যাব।
এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় মোট পাঁচজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে রয়েছেন নগদের উত্তরা ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের ম্যানেজার রিয়াজুল ইসলাম, সুপারভাইজার সঞ্জয় কুমার, ওমর আহমেদ ও তুরাগ অফিসের ম্যানেজার মাসুদুর রহমান। অন্যদিকে মামলার বাদী আব্দুর রহমানকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি পুলিশ।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)