রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
১২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করায় চট্টগ্রাম-৬ আসনের (রাউজান) সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার (১৩ জুলাই) দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, অনুসন্ধানকালে আসামি ফজলে করিম চৌধুরীর নামে ১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ ও ১২ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২৪ কোটি ৮ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। এই সম্পদ অর্জনের বিপরীতে তার ঋণ বা দায়-দেনার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আয়কর নথি পর্যালোচনায়, সম্পদ অর্জনে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ১৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ রেকর্ডপত্রের আলোকে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের তুলনায় ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ বেশি পাওয়া যায়। যা তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রতীয়মান হয়।
এছাড়া তিনি ১২টি ব্যাংক হিসাবে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার অস্বাভাবিক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থের অবৈধ উৎস গোপন করার চেষ্টা করেছেন।
দুদক চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, ফজলে করিম চৌধুরী তার অবৈধ সম্পদ নিজ ভোগ দখলে রেখে এবং সন্দেহজনকভাবে ব্যাংক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধ করেছেন। দুদক তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং ২০১২ সালের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুযায়ী মামলা রুজু করেছে।
জানা যায়, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত এলাকা থেকে এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে আটকের কথা জানায় বিজিবি। সেদিন ‘অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টার’ সময় তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর ফজলে করিমকে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে। সবশেষ ১৯ সেপ্টেম্বর হেলিকপ্টার যোগে তাকে সেখান থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়।
হত্যা, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, হত্যাচেষ্টা, অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো, অস্ত্রের মুখে জমি লিখিয়ে নেওয়া, ভাঙচুর, দখল, রাউজানের গহিরার বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে এখন পর্যন্ত ফজলে করিমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় এক ডজনের বেশি মামলা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)