শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় শুধু ব্যক্তির নয়, সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের সবাইকে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে এবং পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার (২৩ আগস্ট )ঢাকার মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন (এফজিডি) শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, শিল্পদূষণের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে এবং ঢাকার আশেপাশের নদীদূষণ রোধে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে। পলিথিনবিরোধী কার্যক্রম ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ঢাকার বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সাভারকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভবন ও কক্ষের নকশা পরিবেশবান্ধবভাবে করতে হবে। গ্রামীণ আবহই টেকসই, আর একজন আদর্শ কৃষকের জীবনযাপন টেকসই উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। অনাবৃত জায়গায় ঘাস লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
সরকারের পাশাপাশি জনগণের সক্রিয় সম্পৃক্ততার ওপর জোর দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সরকার দিকনির্দেশনা দেবে, কিন্তু পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসতে হবে সবার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন রাজউকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব। সভাপতিত্ব ও সঞ্চালনা করেন ডিসিসিআই সভাপতি তাসকিন আহমেদ।
আলোচনায় অংশ নেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. জিয়াউল হক, সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, রাজউকের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. শামসুল হক, রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ডিএনসিসির নগর পরিকল্পনাবিদ দিলবাহার আহমেদ এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি ড. আদিল মোহাম্মদ খান।
বক্তারা ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ, পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই নগর উন্নয়নে সমন্বিত পরিকল্পনা এবং শক্তিশালী নীতিমালা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)