সোমবার, ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অবৈধ জাল ও জাটকা নিধন পুরোপুরি বন্ধ না হওয়া এবং প্রাকৃতিক নানা কারণে ইলিশের উৎপাদন কমেছে।
এছাড়া নদীর নাব্যতা, জলবায়ু পরিবর্তন, তথাকথিত উন্নয়নসহ নানা প্রাকৃতিক কারণে ইলিশের উৎপাদন কমছে বলেও জানান তিনি। তবে ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে অভিযান পরিচালনাসহ শক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান উপদেষ্টা।
সোমবার (২৫ আগস্ট) বরিশাল ক্লাব মিলনায়তনে উপকূলীয় এলাকায় মহিষের চারণভূমি সংকুচিত হওয়া ও এর উন্নয়নের সম্ভাবনা এবং সমাধান নিয়ে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, কারেন্ট জাল ও অন্যান্য জালের কারণে ইলিশের প্রাপ্যতা কমে যাচ্ছে। এগুলোর জন্য শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছি। অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মাছ ধরাটা বন্ধ করছি। আশা করি আগামীতে উৎপাদন বাড়বে এবং দামও কমবে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা আরও বলেন, ইলিশের দাম নির্ধারণের ব্যপ্যারে নদী থেকে বাজারে আসার পরে যে হাত বদল হয় সেটা যাতে বন্ধ করা যায় সে ব্যপারে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, চারণভূমির ব্যাপারে পরিকল্পনাবিহীন ভাবেই অনেক কিছু গড়ে উঠছে যা মটেও কাম্য নয়। এর কারণে মহিষের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। তবে সঠিক নীতি নির্ধারণী ব্যবস্থা নিতে পারলে চারণভূমিগুলো রক্ষা করা যাবে বলেও জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা। এর মাধ্যমে মহিষের মাংস বাড়াতে পারলে দেশে মাংসের সরবরাহ বাড়ানো যাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
আয়োজিত কর্মশালায় গবেষক, পশুচিকিৎসক, জেলা-উপজেলা থেকে আগত খামারি ও স্থানীয় প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)