মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২


ইসমাঈল (আ.) নিজ পরিবারকে যে ইবাদত পালনের নির্দেশ দিয়েছিলেন

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত:৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৪৩

ছবি ‍: সংগৃহীত

ছবি ‍: সংগৃহীত

হজরত ইসমাঈল (আ.) ছিলেন খলিলুল্লাহ হজরত ইবরাহিম আ.-এর বড় সন্তান। তিনি মা হাজেরার গর্ভজাত ছিলেন। তার জন্মের সময়ে ইবরাহীম আ.-এর বয়স ছিল ৮৬ বছর। ইসমাঈলের পরে বাধ্যর্কে আল্লাহ তায়ালা তাকে ছেলে ইসহাকের জন্মেরও সুসংবাদ দান করেন।

বাধ্যর্কে আল্লাহ তায়ালা তাকে এই দুই সন্তানের সুসংবাদ দান করেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন,

اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ الَّذِیۡ وَهَبَ لِیۡ عَلَی الۡكِبَرِ اِسۡمٰعِیۡلَ وَ اِسۡحٰقَ ؕ اِنَّ رَبِّیۡ لَسَمِیۡعُ الدُّعَآءِ

‘সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি বৃদ্ধ বয়সে আমাকে ঈসমাঈল ও ইসহাককে দান করেছেন। নিশ্চয় আমার রব দোয়া শ্রবণকারী’। (সূরা ইবরাহিম, আয়াত : ৩৯)

ইসমাঈল (আ.)-এর জন্মের পর আল্লাহ তায়ালা পিতা-পুত্রের মাধ্যমে বড় দুইটি পরীক্ষা গ্রহণ করেন। প্রথম ছিল ইসমাঈল যখন দুধের শিশু ছিল সেই সময়ের। দুধের শিশু ইসমাঈলকে নির্জন মরুপ্রান্তরে রেখে আসার নির্দেশ দেন আল্লাহ তায়ালা।

বাধ্যর্কে সন্তান লাভের পর কোনো বাবার পক্ষে এমন আদেশ পালন করা সম্ভব নয়। তবে নবী ইবরাহিম আ. বিনা বাক্যব্যয়ে আল্লাহর আদেশ পালন করেন। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর আল্লাহ তায়ালা কিশোর বয়সে ইসমাঈলকে কোরবানীর আদেশের মাধ্যমে আরেকটি পরীক্ষা নেন।

বাবার কাছে আল্লাহর আদেশের কথা শুনে কিশোর ইসমাঈলও কোনো দ্বিধা-সংশয় ছাড়া তার আদেশ পালনে বাবাকে সহায়তা করেন। পরবর্তীতে আল্লাহ তায়ালা তাকেও নবী বানান। তার বংশেই আগমন করেন রহমাতুল্লিল আলামীন হজরত মুহাম্মদ সা.।


নবী ইসমাঈল আ.-এর মাঝে অঙ্গীকার পূরণের গুণ ছিল। এছাড়াও তিনি পরিবারকে নামাজ আদায় ও যাকাত প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরিবারকে নামাজ আদায় ও যাকাত প্রদানের বিষয়ে ইসমাঈল (আ.)-এর এই নির্দেশের কথা আল্লাহ তায়ালা বিশেষভাবে তুলে ধরেছেন কোরআনে। বর্ণিত হয়েছে—

اذْكُرْ فِي الْكِتَابِ إِسْمَاعِيلَ إِنَّهُ كَانَ صَادِقَ الْوَعْدِ وَكَانَ رَسُولاً نَّبِياًّ- وَكَانَ يَأْمُرُ أَهْلَهُ بِالصَّلاَةِ وَالزَّكَاةِ وَكَانَ عِندَ رَبِّهِ مَرْضِيًّا

‘এই কিতাবে আপনি ইসমাঈলের কথা বর্ণনা করুন। তিনি ছিলেন প্রতিশ্রুতি পালনে সত্যাশ্রয়ী এবং তিনি ছিলেন রাসূল ও নবী’। ‘তিনি তাঁর পরিবারবর্গকে সালাত ও জাকাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি স্বীয় পালনকর্তার নিকট পসন্দনীয় ছিলেন।’ (সুরা মারিয়াম, আয়াত : ৫৪-৫৫)।

নামাজ, যাকাতের নির্দেশ প্রত্যেক নবীই দিয়েছেন। তবে ইসমাঈল আলাইহিস সালাম বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি চাননি তার পরিবারের লাকেরা জাহান্নামে প্রবেশ করুক। এ ব্যাপারে তিনি কোন ছাড় দেন নি। (ইবন কাসীর)

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:২৭ ভোর
যোহর ১২:৫৬ দুপুর
আছর ০৪:২৪ বিকেল
মাগরিব ০৬.১২ সন্ধ্যা
এশা ০৭:২৫ রাত

মঙ্গলবার ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫