মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
৯০ মিনিটের রোমাঞ্চপূর্ণ ম্যাচ শেষে রেফারির বাঁশি বাজানোর পর একদিকে উল্লাসে ফেটে পড়েন চেসলির খেলায়াড়, কোচ থেকে শুরু করে কোচিং স্টাফের সদস্যরা। সেই সময় উত্তেজনা ধরে রাখতে না পেরে হতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দু'দলের খেলোয়াড়রা। তখন পিএসজি বস লুইস এনরিক দৌড়ে এসে নিজের খেলোয়াড়দের শান্ত করতে থাকেন।
তখন চেলসির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো দৌড়ে আসেন পিএসজির কোচের কাছে। লুইস এনরিকের হাতের ধাক্কা খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ফাইনালে গোল করা এই তারকা। যদিও এনরিক জানিয়েছে, পেদ্রোকে হতাশ করার কোনো উদ্দেশ্যই ছিল না তার।
অন্যদিকে শিষ্যকে পরে যেতে দেখে লুইস এনরিকের দিকে তেড়ে আসেন চেলসি বস এনজো মারেস্কা। দুই কোচই জড়িয়ে পড়েন হাতাহাতিতে। অথচ ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে দুই জনই প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দুই জনকে। অবস্থা বেগতিক দেখে নিজেরা হাতাহাতি বাদ দিয়ে দুই কোচকে শান্ত করতে থাকেন খেলোয়াড়রা।
দুই কোচকে টেনে দুই দিকে নিজে যান কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যরা। তবে ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পিএসজি বস লুইস এনরিক জানিয়েছেন পেদ্রোকে হতাশ করার কোনো ইচ্ছেই ছিল না। তার মতে, মিডিয়ার ভুল ব্যাখ্যা ফুটবলকে সাম্প্রদায়িক করে তুলছে। ম্যাচ শেষে হাতাহাতি নিয়ে জানান, চেলসি বস আগে তার খেলোয়াড়দের ধাক্কা দিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে গিয়েছেন তিনি। এনরিক বলেন, 'আমি মারেস্কাকে খেলোয়াড়দের ধাক্কা দিতে দেখেছি। আমার উদ্দেশ্য পরিষ্কার ছিল, আমি খেলোয়াড়দের আলাদা করতে দৌড়ে গিয়েছিলাম।'
এছাড়াও সকলকে এমন পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা দরকার বলে মনে করেন পিএসজি বস। তিনি বলেন, 'আমি জানি না উত্তেজনা কোথা থেকে শুরু হয়েছে। কিন্তু এটি এমন একটি পরিস্থিতি যা আমাদের সকলের এড়ানো উচিত।'
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)