সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা তারকা লিওনেল মেসিকে ঘিরে বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের মুগ্ধতা কারও অজানা নয়। তার অসাধারণ পারফরম্যান্স এবং নেতৃত্বগুণের কারণে সতীর্থতো বটেই, প্রতিপক্ষের অনেকেই আর্জেন্টাইন মহাতারকার প্রতি নিজেদের মুগ্ধতার কথা জানিয়েছেন।
বিশ্ব ফুটবল খেলোয়াড়দের সংগঠন ফিপপ্রো আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মেসিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন বেশ কয়েকজন তারকা ফুটবলার।
ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা গোলরক্ষক জো হার্ট ক্লাব ফুটবলে মেসির বিপক্ষে খেলার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘আমি যখন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে খেলতাম, আমাদের দলটা খুবই শক্তিশালী ছিল। কিন্তু যখন বার্সেলোনার বিপক্ষে মেসিকে সামলাতে হতো, তখন টিম মিটিংয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল শুধু সে। কীভাবে তাকে আটকানো যাবে—এটাই ছিল মূল প্রশ্ন। কারণ, যখন সে তার সেরা ফর্মে থাকে, তখন তাকে থামানো প্রায় অসম্ভব। আমাদের খেলায় সত্যিকারের সুপারস্টার দরকার, আর মেসি সেই সুপারস্টার।’
অন্যদিকে, কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া দলে ছিলেন মিডফিল্ডার জ্যাকসন আরভিন। তিনি তুলে ধরেন ম্যাচের আগে অদ্ভুত এক কৌশলের কথা। বলছিলেন, ‘মেসির একটা অদ্ভুত ‘অরা’ আছে, যা আপনি তার সামনে দাঁড়ালেই বুঝবেন। আমাদের কোচ গ্রাহাম আর্নল্ড মেসির নাম উচ্চারণ করতেন না। ট্যাকটিক্যাল মিটিংয়ে তিনি শুধু বলতেন ‘নাম্বার ১০’। যেন তার নাম বললেই কোনো ভয় ঢুকে যাবে খেলোয়াড়দের মনে।’
আমাদের কোচ গ্রাহাম আর্নল্ড মেসির নাম উচ্চারণ করতেন না। ট্যাকটিক্যাল মিটিংয়ে তিনি শুধু বলতেন ‘নাম্বার ১০’। যেন তার নাম বললেই কোনো ভয় ঢুকে যাবে খেলোয়াড়দের মনে।
জ্যাকসন আরভিন, মিডফিল্ডার, অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল
এদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক ও সদ্য এমএলএসে যোগ দেওয়া অং মিন সন মেসিকে ঘিরে ব্যক্ত করেছেন নিজের অনুভূতি। ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা খুবই সৌভাগ্যবান যে মেসির মতো একজন কিংবদন্তির সঙ্গে একই প্রজন্মে খেলছি। তিনি যা অর্জন করেছেন তার ক্লাব ও দেশের হয়ে, তা অবিশ্বাস্য। মেসির এমএলএসে আগমন অনেক খেলোয়াড়ের মতো আমাকেও অনুপ্রাণিত করেছে। তিনি আমার চিন্তার জগৎটাই বদলে দিয়েছেন। এখন তার বিপক্ষে মাঠে নামতে পারাটা আমার জীবনের অন্যতম গর্বের বিষয়।’
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)