বুধবার, ১১ জুন ২০২৫, ২৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২


‘ফাইবার অপটিক ড্রোন’ কতটা মারাত্মক?

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশিত:১০ জুন ২০২৫, ১০:৩৪

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। প্রায় প্রতিদিনই এ যুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে নতুন নতুন সামরিক অস্ত্র। যা একটার চেয়ে আরেকটা আরও বেশি মারাত্মক। রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের নতুন সামরিক অস্ত্র ‘ফাইবার অপটিক ড্রোন’। যা নতুন আতঙ্কের নাম। ফাইবার অপটিক কেবল ড্রোন প্রথমে রাশিয়া একাই ব্যবহার করত, এখন ইউক্রেনও ব্যবহার করছে।

ইউক্রেনের ছোট ছোট শহরে ফাইবার অপটিক কেবলে ড্রোন বেঁধে পাঠাচ্ছে রুশ সেনারা। এমন ড্রোন হামলা আগে দেখেনি ইউক্রেনের সেনারা। ইউক্রেনের সেনাঘাঁটি, শহরের গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং, এমনকি সেনাদের গাড়ি দেখতে পেলেও সেখানে এই ড্রোন পাঠাচ্ছে মস্কো। তবে হাল ছাড়তে নারাজ ইউক্রেনও। তারাও পাল্টা লড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি তারাও পাল্টা ফাইবার অপটিক ড্রোন হামলা শুরু করেছে। ইউক্রেনের ন্যাশনাল গার্ডের ‘আনম্যানড সিস্টেম ব্যাটেলিয়ন’-এর টুয়েলভথ স্পেশ্যাল ফোর্স ব্রিগেড ফাইবার অপটিক কেবলে বেঁধে হামলাকারী ড্রোন পাঠাচ্ছে রুশ সেনাদের লক্ষ্য করে।

‘ফাইবার অপটিক ড্রোন’ কীভাবে কাজ করে?

ফাইবার অপটিক কেবলের সঙ্গে এক একটি বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন বেঁধে উড়িয়ে দেওয়া যায়। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কোনো রকম ইলেকট্রিকের ব্যবহার নেই বলে এই ড্রোন থেকে কোনো সিগন্যাল বেরোয় না। ড্রোনগুলো ছোট, ব্যাটারিতে ওড়ে। ইলেকট্রিকের ব্যবহার না থাকায় শত্রুর রেডার হাজার আধুনিক হলেও ধরা পড়ার প্রশ্নই ওঠে না। এসব ড্রোন ‘রেডিও সাইলেন্স’ অবলম্বন করে। একজন ড্রোন পাইলট দূর থেকে বসে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ড্রোনটি অপারেট করেন। সাধারণত ড্রোনকে অকেজো করতে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। মিসাইলগুলো শত্রুর ড্রোনের রেডিও সিগন্যালকে লক্ষ্য করে ছুটে যায়।

একবার ভাবুন, যদি এই রেডিও সিগন্যালই না থাকে, তাহলে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমও কোনো কাজে লাগে না। কেউ যদি অপটিক কেবল কেটে দিতে যায়, ক্যামেরায় সেটা দেখতে পেয়ে সেই মুহূর্তেই বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেওয়া হয়। আর আকাশে কোথায় সরু অপটিক কেবল রয়েছে, দেখতে পাওয়াও দুঃসাধ্য। সঙ্গে রয়েছে ড্রোনের ধারাল টাইটেনিয়াম ব্লেডের ধার। কেউ কাছাকাছি গেলে তার আস্ত হাতটাই কেটে যেতে পারে।

প্রথমে ‘ফাইবার অপটিক ড্রোন’ শুধু নজরদারি ও তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যবহার করত মস্কো। কিন্তু ২০২৪ থেকে রুশ সেনারা হামলা চালাতেও এই প্রথাগত ড্রোন ব্যবহার শুরু করে। রাশিয়ার দেখাদেখি ইউক্রেনের সেনারাও সম্প্রতি এই অপটিক কেবল ড্রোন ব্যবহার করছে। তবে এই ড্রোনের কিছু দুর্বলতাও রয়েছে। কেবলের মাধ্যমে যায় বলে ১০ থেকে ২০ বা সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটারের বেশি এগুলো যেতে পারে না। অপটিক কেবল গাছে জড়িয়ে গেলে ড্রোনটি লক্ষ্যে পৌঁছনোর আগেই নষ্ট হয়ে যায়। বেশি উঁচুতে উড়তে পারে না এই ধরণের ড্রোন। লক্ষ্যে পৌঁছায়ও বেশ ধীরে। কিন্তু উপস্থিতি টের পাওয়া অসম্ভব বলে এখন রাশিয়া এই ড্রোন বেশি ব্যবহার করছে।

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৩:৪৪ ভোর
যোহর ১১:৫৭ দুপুর
আছর ০৪:৩৭ বিকেল
মাগরিব ০৬:৪৮ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১১ রাত

বুধবার ১১ জুন ২০২৫