রবিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২


দার্জিলিং ভ্রমণে যে ৭ স্থানে যেতে ভুলেও মিস করবেন না

ভ্রমণ ডেস্ক

প্রকাশিত:২৪ আগষ্ট ২০২৫, ১২:২২

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

কুয়াশার চাদরে মোড়া সকাল, পাহাড় ছুঁয়ে আসা হিমেল বাতাস, চায়ের সুবাসে ভরা বিকেল আর পাহাড়ি শহরের নাম উঠলেই যে জায়গার কথা প্রথম মনে পড়ে তা হলো দার্জিলিং। হাতের নাগালের মধ্যে শীতল বাতাস আর দুর্দান্ত প্রকৃতি পেতে অনেকেই গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ছুটে যান মেঘ-পাহাড় আর হিমশীতল দার্জিলিংয়ে।

পাহাড়ি এই জনপদে ঘুরে আসার পরও অনেকেই শহরটির গভীরতা ছুঁয়ে দেখার সুযোগ পান না। এমন কিছু অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হন, যা ভ্রমণকে আরও অর্থবহ করে তুলতে পারত। যারা এর আগে গিয়েছেন কিংবা যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য রইল দার্জিলিংয়ের এমন সাতটি ‘মাস্ট ডু’ অভিজ্ঞতার তালিকা; যা মিস করলেই আপনার ট্রিপ হবে অসম্পূর্ণ।

১. চা-বাগান

দার্জিলিং মানে শুধু বিখ্যাত চা খাওয়া নয়, বরং চা-বাগানের সবুজ ঢেউয়ের ভেতর দিয়ে হেঁটে বেড়ানোও একটি চমৎকার অভিজ্ঞতা। গাইডের সাহায্যে ‘হ্যাপি ভেলী টী এস্টেট’ বা ‘মাকেইবারি টী গার্ডেন’-এ গিয়ে চা বানানোর পদ্ধতি সরাসরি দেখতে পারেন। প্রকৃতি আর শিল্প; দুটোরই ছোঁয়া মিলবে এখানে।

২. ঘুম মনাস্ট্রি ও হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট

দার্জিলিংয়ের প্রাণশক্তি শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নয়। ঘুম মনাস্ট্রিতে অবস্থিত বিশাল বুদ্ধমূর্তি আর নীরব পরিবেশ যেন ভিন্ন এক জগতে নিয়ে যায়। কাছেই আছে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, যেখানে দেখা যায় এভারেস্টজয়ী তেনজিং নোরগে ও শেরপাদের স্মৃতি।

৩. স্থানীয় হস্তশিল্প বাজার

চৌরাস্তা ও নিউ মার্কেট ঘুরলে বোঝা যায় দার্জিলিংকে সংস্কৃতির শহরও বলা হয়। কাঠের খেলনা, হাতে বানানো পশমি পোশাক ও স্থানীয় হস্তশিল্পের পসরা দেখে চোখ আটকে যায়। মনে রাখবেন এগুলো শুধু শিল্প নয়, মনে হয় যেন স্থানীয় মানুষের জীবনের প্রতিচ্ছবি।

৪. পায়ে হেঁটে শহর দেখা

দার্জিলিংকে যারা শুধু গাড়িতে বসে দেখে ফেলেন, তারা অনেক কিছুই মিস করেন। শহরটিকে আপন করে নিতে হলে হাঁটার জন্য একদিন সময় রাখুন। মল রোড থেকে অবজার্বেটরি হিল পর্যন্ত হেঁটে গেলে প্রকৃতি, স্থাপত্য ও মানুষের জীবনের এক অনবদ্য সংমিশ্রণ চোখে পড়বে।

৫. টয় ট্রেনে চড়া

দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে বা টয় ট্রেন কেবল বাহন নয়, বরং এটি নিজেই এক জীবন্ত ঐতিহ্য। ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্য এই ট্রেন আপনাকে এক রূপকথার জগতে নিয়ে যাবে। কার্শিয়ং থেকে দার্জিলিং বা ঘুম পর্যন্ত যেকোনো রুটে টিকিট কেটে আগেভাগে চড়ে ফেলুন।

৬. টাইগার হিল থেকে সূর্যোদয় দেখা

ভোরের কুয়াশা ভেদ করে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় সূর্যের প্রথম আলো পড়া–এই দৃশ্য একবার দেখলে তা আজীবন মনে গেঁথে থাকবে। টাইগার হিলে ভোর ৪টার মধ্যে পৌঁছাতে পারলে আপনি হবেন এই প্রাকৃতিক চিত্রনাট্যের প্রত্যক্ষদর্শী।

৭. স্থানীয় খাবার

দার্জিলিংয়ের ঘ্রাণ কেবল বাতাসে নয়, খাবারেও। স্থানীয় থুকপা, মোমো বা নুডলসের স্বাদ না পেলে এই শহরের রন্ধন ঐতিহ্য থেকে বঞ্চিত হবেন। মল রোডের গলিপথে স্থানীয় রেস্টুরেন্ট কোঙ্গা, সোনাম’স কিচেনে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না।

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:১৯ ভোর
যোহর ১২:০১ দুপুর
আছর ০৪:৩৪ বিকেল
মাগরিব ০৬.২৮ সন্ধ্যা
এশা ০৭:৪৩ রাত

রবিবার ২৪ আগস্ট ২০২৫