বৃহঃস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২


তায়েফবাসীর জন্য যে দোয়া করেছিলেন মহানবী (সা.)

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত:১০ জুলাই ২০২৫, ১৩:১৯

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

মক্কার কুরাইশদের ইসলামের দাওয়াত দিয়ে হতাশ হলেন মহানবী (সা.)। মক্কার অদূরে তায়েফের লোকদের কাছে ইসলামের দাওয়াত নিয়ে গেলেন তিনি। তায়েফে ১০ দিন তিনি গোপনে, প্রকাশ্যে, একাকী ও সামগ্রিকভাবে দাওয়াত দেন। তিনি বাজারে দাঁড়িয়ে কোরআন তিলাওয়াত করেন এবং ইসলাম ও মুসলমানের পক্ষে তাদের সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করেন।

কিন্তু তায়েফবাসী তাকে হতাশ করে এবং তারা চূড়ান্ত পর্যায়ের দুর্ব্যবহার ও অত্যাচার করে মহানবী সা.-এর ওপর।

রাসূল সা. তায়েফের নেত্রীস্থানীয়দের ইসলামের দাওয়াত দিলে তারা তা মানতে অস্বীকার করলো এবং তায়েফের সাধারণ মানুষদের মহানবী সা.-এর বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলে।

তারা এলাকার উচ্ছৃঙ্খল বালকদের মহানবী সা.-এর পেছনে লেলিয়ে দিল। তারা নবীজি সা.- কে পাথর নিক্ষেপ করে গালাগাল করতে শুরু করল।

তাদের পাথরের আঘাত ও অত্যাচারে মহানবী সা.-এর পুরো শরীরের রক্তাক্ত হয়ে যায়। রক্তে তার জুতা ভরে যায়। তাদের এই অত্যাচারে রাসূলুলুল্লাহ সা. মাটিতে বসে পড়েন। এ সময় তিনি তাদের জন্য আল্লাহ তায়ালা কাছে দোয়া করেন। দোয়ায় তিনি বলেন—

اللّٰهُمَّ إِلَيْكَ أَشْكُو ضَعْفَ قُوَّتِى، وَقِلَّةَ حِيلَتِى وهَوَانى عَلَى النَّاس يَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ، أَنْتَ رَبُّ المُسْتَضْعَفِينَ، وأَنْتَ رَبَّى إلَى مَنْ تَكِلَنِى إِلَى بَعِيدٍ يَتَجَهَّمُنِى؟ أوْ إلى عَدوٍّ مَلَّكْتَهُ أَمْرِى، إنْ لَمْ يَكُنْ بِكَ غَضَبٌ عَلَىَّ فَلاَ أُبَالِى، غَيْرَ أَنَّ عَافِيتَكَ هِى أَوْسَعُ لى، أَعُوذُ بِنُورِ وَجْهِكَ الَّذِى أَشْرَقَتْ لَهُ الظُّلُمَاتُ، وَصَلُحَ عَلَيْهِ أَمْرُ الدُّنيا وَالآخِرَةِ أَنْ يَحِلَّ عَلَىَّ غَضَبُكَ أوْ أَنْ يَنْزِلَ بى سَخَطُك، لك العُتبى حَتَّى تَرْضَى وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلا بِكَ

‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে স্বীয় দুর্বলতা, (মানুষকে বুঝাতে) আমার কলা-কৌশলের স্বল্পতা এবং মানুষের কাছে আমার মূল্যহীনতার অভিযোগ করছি। হে সর্বাধিক দয়ালু! তুমি দুর্বলদের প্রভু, আমারও প্রভু। তুমি আমাকে কার কাছে ন্যস্ত করছ? তুমি কি আমাকে দূরের এমন অচেনা কারও হাতে ন্যস্ত করেছ, যে আমার সঙ্গে কঠোর ব্যবহার করবে? নাকি কোনো শত্রুর হাতে সোপর্দ করেছ, যাকে তুমি আমার বিষয়ের মালিক করে দিয়েছ?

তুমি যদি আমার উপর রাগান্বিত না হও তাহলে আমি কোনোকিছুই পরওয়া করি না। তবে নিঃসন্দেহে তোমার ক্ষমা আমার জন্য সর্বাধিক প্রশস্ত ও প্রসারিত। আমি তোমার সেই চেহারার আলোর আশ্রয় চাই, যা দ্বারা অন্ধকার দূরিভূত হয়ে যায় এবং যা দ্বারা দুনিয়া ও আখেরাতের সকল বিষয় সংশোধন হয়। এই কথার মাধ্যমে আমার উপর তেমার ক্রোধ নেমে আসা হতে অথবা আমার উপর তোমার অসন্তুষ্টি নাজিল হওয়া থেকে তোমার আশ্রয় চাই। তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যেই আমার সকল প্রচেষ্টা। তোমার সাহায্য ছাড়া অন্যায় কাজ থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব নয় এবং তোমার তাওফিক ও শক্তি ছাড়া তোমার আনুগত্য করা অসম্ভব।’ (সিরাতে ইবনে হিশাম, আলবানি রহ. এই বর্ণনাটিকে জঈফ বলেছেন। ফিকহুস সিরাত: ১/১২৫)

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৩:৫২ ভোর
যোহর ১২:০৪ দুপুর
আছর ০৪:৪৪ বিকেল
মাগরিব ০৬.৫৩ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১৬ রাত

বৃহঃস্পতিবার ১০ জুলাই ২০২৫