রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২


আল্লাহ তায়ালা খুঁটিবিহীন আসমান সৃষ্টি করেছেন যেভাবে

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত:২০ জুলাই ২০২৫, ১৩:৫১

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

আসমান-জমিন সাত দিনে সৃষ্টি করেছেন আল্লাহ তায়ালা। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, নিশ্চয় তোমাদের রব আসমানসমূহ ও জমিন ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশে উঠেছেন। তিনি রাত দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। প্রত্যেকটি একে অপরকে দ্রুত অনুসরণ করে। আর (সৃষ্টি করেছেন) সূর্য, চাঁদ ও তারকারাজী, যা তার নির্দেশে নিয়োজিত। জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ তারই। আল্লাহ মহান, যিনি সকল সৃষ্টির রব। (সুরা আল আরাফ, আয়াত : ৫৪)

আল্লাহ তায়ালা আসমানকে সৃষ্টি করেছেন কোনো রকম খুঁটি ছাড়া। পৃথিবীর ওপর খুঁটিবিহীন ঝুলন্ত আসমান সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে, আল্লাহ তায়ালা আসমানসমূহকে কোন খুঁটি ব্যতীত উপরে উঠিয়েছেন, তোমরা সে আসমানসমূহকে দেখতে পাচ্ছ। (সুরা রাদ, আয়াত : ২)

অর্থাৎ আল্লাহ এমন এক সত্তা, যিনি আসমানসমূহকে সুবিস্তৃত ও বিশাল গম্বুজাকার খুঁটি ছাড়া উপরে উঠিয়ে রেখেছেন। কোরআনের অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘আর তিনিই আকাশকে স্থির রাখেন যাতে তা পড়ে না যায় পৃথিবীর উপর তার অনুমতি ছাড়া।’ (সুরা হজ, আয়াত :৬৫)

পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন বর্ণনায় এটা এসেছে যে, জমিনের আশেপাশে যা আছে যেমন, বাতাস, পানি ইত্যাদি প্রথম আসমান এ সবগুলোকে সবদিক থেকে সমভাবে বেষ্টন করে আছে। যে কোন দিক থেকেই প্রথম আসমানের দিকে যাত্রা করা হউক না কেন তা পাঁচশত বছরের পথের দূরত্বে রয়েছে। আবার প্রথম আসমান বা নিকটতম আসমানের দূরত্বও পাঁচশত বছরের পথের দূরত্বের মতো। একইভাবে দ্বিতীয় আসমানও প্রথম আসমানকে চারদিক থেকে বেষ্টন করে আছে। এ দুটোর দূরত্ব পাঁচশত বছরের পথের দূরত্বের মত। আবার দ্বিতীয় আসমানের পুরুত্বও পাঁচশত বছরের রাস্তার মত। তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম আসমানও একই রকম দূরত্ব ও পুরত্ব বিশিষ্ট।

এ আসমানসমূহকে আল্লাহ তায়ালা তার নিজস্ব ক্ষমতাবলে কোন প্রকার বাহ্যিক খুঁটি ছাড়াই ধারন করে রেখেছেন। সেগুলো একটির উপর আরেকটি পড়ে যাচ্ছে না এটা একদিকে যেমন তার মহা শক্তিধর ও ক্ষমতাবান হওয়া নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে অন্যদিকে আসমান ও জমিন যে কত প্রকাণ্ড সৃষ্টি তার এক প্রচ্ছন্ন ধারণা আমাদেরকে দেয়।

আরেক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ আসমানসমূহ ও জমিনকে ধরে রাখেন যাতে এগুলো স্থানচ্যুত না হয়। আর যদি এগুলো স্থানচ্যুত হয়, তাহলে তিনি ছাড়া আর কে আছে, যে এগুলোকে ধরে রাখবে? নিশ্চয় তিনি পরম সহনশীল, অতিশয় ক্ষমাপরায়ণ। (সুরা ফাতির, আয়াত : ৪১)

অর্থাৎ, বান্দার ওপর আল্লাহ তায়ালার অসীম দয়া এই যে, তিনি আকাশ ও পৃথিবীকে ধারণ করে রেখেছেন এবং তা আপন স্থান থেকে নড়াচড়া করতে ও হিলতে দেন না; নইলে চোখের পলকে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। কারণ তিনি যদি তাকে ধারণ না করেন ও তার স্থান থেকে নড়াচড়া করতে দেন, তাহলে তিনি আল্লাহ ছাড়া এমন কোন শক্তি নেই, যে তাকে ধারণ করে রাখবে।

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৩:৫৮ ভোর
যোহর ১২:০৫ দুপুর
আছর ০৪:৪৪ বিকেল
মাগরিব ০৬.৫১ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১২ রাত

রবিবার ২০ জুলাই ২০২৫