রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
স্বামী-স্ত্রী একে-অপরের একান্ত আপজন। তাদের সম্পর্ক এতোটাই কাছের যে পবিত্র কোরআনে তাদেরকে অপরজনের শরীরের পোশাকের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে।
স্বামী-স্ত্রীর নিবিড় এই সম্পর্ক বোঝাতে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তারা (স্ত্রীরা) তোমাদের জন্য পোশাকস্বরূপ এবং তোমরা তাদের জন্য পর্দাস্বরূপ।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১০)
বিবাহিত জীবনের সম্পর্ক আরও গভীর ও নিবিড় হয় একে-অপরের সঙ্গে মন খুলে ভালোবাসা বিনিময়ের মাধ্যমে এবং ভালো গুণের প্রশংসার মাধ্যমে। মুমিনের জীবনের প্রতিটি দিকের মতো প্রতি ভালো গুণ এবং ভালো কাজের প্রশংসা করার শিক্ষা দিয়েছেন প্রিয়নবী (সা.)। প্রিয়নবীর শিক্ষা অনুসারে স্ত্রীর প্রশংসা করা সুন্নত।
প্রিয়নবী (সা.) নিজ মুখে স্ত্রীর প্রশংসা করতেন। তার এই সুন্দর গুণটির সাক্ষী তার স্ত্রীরা নিজেই। এ বিষয়ে হজরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন—
আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রীদের মধ্য থেকে খাদিজা (রা.)-এর চেয়ে অন্য কোন স্ত্রীর প্রতি অধিক ঈর্ষা করিনি। কারণ, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায় তার কথা স্মরণ করতেন এবং তার প্রশংসা করতেন।
এছাড়াও রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ওহীর মাধ্যমে তাকে [খাদিজা (রা.)]-কে জান্নাতের মধ্যে একটি মতির প্রাসাদের সুসংবাদের খবর জানানো হয়েছিল। (বুখারি, হাদিস : ৫২২৯; মুসলিম, হাদিস : ২৪৩৯)
অন্য হাদিসে হজরত আবু মুসা (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘পুরুষের মধ্যে অনেকেই পূর্ণতা অর্জন করেছেন। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া এবং ইমরানের কন্যা মারইয়াম ছাড়া আর কেউ পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়নি। তবে আয়েশার মর্যাদা সব মহিলার ওপর এমন, যেমন সারিদের (তৎকালীন জনপ্রিয় বিশেষ খাদ্য) মর্যাদা সকল প্রকার খাদ্যের ওপর। (সহিহ বুখারি: ৩৪১১)।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)