শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
জার্মানিকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে স্পেন। যদিও রোমাঞ্চকর এই ম্যাচের ৯০ মিনিট ছিল গোলশূন্য ড্র, এরপর অতিরিক্ত ৩০ মিনিটও অপরিবর্তিত স্কোরবোর্ড নিয়ে শেষের পথে ছিল। তবে টাইব্রেকারে যাওয়ার মিনিট সাতেক আগে ডেডলক ভেঙেছেন টুর্নামেন্টের আগে হাসপাতালের বিছানায় কাটানো স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আয়তানা বোনমাতি।
মেয়েদের ইউরো শুরুর আগমুহূর্তে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন ভাইরাল মেনিনজাইটিসে ভোগা বোনমাতি। ঠিকঠাক খেলা নিয়েও সংশয় ছিল এই বার্সেলোনা তারকার। এরপর অবশ্য ইউরোর পাঁচ ম্যাচেই তিনি খেলেছেন, তবে দুইবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী বোনমাতির গোল পাওয়া হচ্ছিল না। সেমিফাইনালেই করলেন বহুল কাঙ্ক্ষিত গোল। যা স্প্যানিশ মেয়েদের টাইব্রেকারের মতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে দেয়নি।
১-০ গোলে জিতে প্রথমবার নারী ইউরোর ফাইনাল খেলতে যাচ্ছে স্পেন। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। আগামী রোববার রাত ১০টায় সুইজারল্যান্ডের সেন্ট জ্যাকব পার্কে দুই দল শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে। এর আগে ইংলিশ মেয়েরা ২-১ গোলে ফ্রান্সকে হারিয়েছিল প্রথম সেমিফাইনালে। এবারের আসরে জার্মানিও দারুণ ফেভারিট ছিল, তবে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনের বিপক্ষে তারা পেরে উঠল না। ফলে আবারও ২০২৩ বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতি ফিরছে, যেখানে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জেতে বোনমাতি-পুতেয়াসরা।
বোনমাতির একমাত্র গোল স্পেনকে প্রথমবার ইউরোতে তুলে ইতিহাস গড়ে দিয়েছে। যা নিয়ে ২৭ বছর বয়সী এই বার্সা মিডফিল্ডার বলেন, ‘এই ম্যাচে আমি নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়েছি এবং আমার সকল সতীর্থকে এজন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। তারা আমাকে এই ম্যাচ পর্যন্ত আসতে সহায়তা করেছে, কারণ আমার একার পক্ষে এটি সম্ভব ছিল না। আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি না, আমার আস্থা কঠোর পরিশ্রম, আমার মানসিকতা এবং মানুষের সমর্থনের প্রতি।’
১১৩ মিনিটে সতীর্থ ফুটবলার রেবেকা নাকের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে কোণাকুণি শটে জার্মান গোলরক্ষককে পরাস্ত করেছেন বোনমাতি। তার প্রশংসা করে স্পেন কোচ মন্টসে তোমে বলেন, ‘টুর্নামেন্টের শুরুতে তার জন্য খেলাটা সহজ ছিল না, কিন্তু সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার মতো বিশেষ ব্যক্তিত্ব আছে তার। খেলার ফাঁকে জায়গা করে নেওয়ার অসাধারণ সামর্থ্য আছে তার, যেমন করে আজও সুযোগ তৈরি করেছে। স্বাস্থ্যগত বিষয়ও সে সমাধান করেছে টুর্নামেন্টের শুরুতেই। তাকে মাঠে ফেরানোর কাজটা ভালো ছিল, দলকে অনেক সাহায্য করেছে।’
গত দুই বছরে স্পেন বিশ্বকাপ ও উয়েফা নেশন্স লিগ জিতেছে। এবার ইউরোর ট্রফিও নিতে চায় নিজেদের শোকেসে। তেমন কিছু করতে তাদের হারাতে হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের। আপাতত সেদিকেই সেমিফাইনালের জয় উদযাপনের দিকেই নজর বোনমাতির, ‘ইংল্যান্ডকে নিয়ে আমরা আগামীকাল ভাবব, এখন সময়টা উদযাপনের।’
ডিএম /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)