রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৬ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি : সংগৃহীত
অনেক ‘যদি কিন্তু’র সমীকরণ মিলিয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠেছিল বাংলাদেশ। কে জানতো! এক জয়ে পাল্টে যাবে সবার বিশ্বাস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে সুপার ফোরের যাত্রা শুরু করেছে লিটন দাসের দল। স্বপ্ন দেখছে ফাইনালে খেলার।
আসর শুরুর আগে দুবাইয়ের বিমান ধরার আগে ফাইনালে খেলার স্বপ্নের কথা বলেছিলেন ক্রিকেটারদের কেউ কেউ। তবে খুব একটা যে পাত্তা পেয়েছেন তেমনটা বলা যায় না। তবে লঙ্কাবধে সুপার ফোর শুরুর পর সমর্থকদেরও কেউ কেউ এখন ফাইনালের আশা দেখছেন।
ফাইনালে খেলার বিশ্বাসের কথা জানান লঙ্কাবধের অন্যতম নায়ক সাইফ হাসানও। এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলার বিশ্বাস আছে উল্লেখ করে সাইফ বলেন, ‘এখানে আসার আগে থেকেই আমাদের বিশ্বাস ছিল যে আমরা ফাইনাল খেলব। আমরা এক ধাপ এগিয়েছি। এখনও দুটি ম্যাচ বাকি আছে। আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য পরের (ভারত) ম্যাচ।’
শ্রীলঙ্কাকে হারালেই ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ
দিন দুয়েক আগেও যে পথটা মনে হচ্ছিল বন্ধুর–কাঁটায় ভরা, এখন তা বেশ পরিস্কার। আগামী বুধবার ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, পরদিনই পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই দুই ম্যাচের একটি জিতলেও বাংলাদেশের ফাইনাল খেলার যথেষ্টই সম্ভাবনা থাকবে। হেরে গেলে অবশ্য কোনো আশা থাকবে না।
তবে এশিয়া কাপের এক পরিসংখ্যান বাংলাদেশের আশার পালে হাওয়া দিচ্ছে। বলা যায় ফাইনালে খেলার বাড়তি অনুপ্রেরণা দিতে পারে। এমনিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে পরিসংখ্যানে অনেক এগিয়ে লঙ্কানরা। গতকালকের ম্যাচের আগে এশিয়া কাপের ইতিহাসে বাংলাদেশ মাত্র তিনবার শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পেরেছে। তবে এই তিনটি জয়ই বাংলাদেশের জন্য দারুণ অনুপ্রেরণার উৎস। কারণ, ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৮ সালের এশিয়া কাপে যতবারই বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে, ততবারই তারা ফাইনাল খেলেছে।
২০১২ সালে লঙ্কানদের হারানোর পর ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৬ সালে মাশরাফি বিন মর্তুজার দলও ফাইনালে পৌঁছেছিল। আর সবশেষ ২০১৮ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ।
এবারের আসরে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে পেরেছে বাংলাদেশ। দেখা যাক, শেষটাও আগের তিন আসরের মতো পুনরাবৃত্তি হয় কি না!
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)