শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১ আশ্বিন ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
ফিলিস্তিনে চলমান দখলদার ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে জোরালো আওয়াজ উঠেছে বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্র থেকে। একইভাবে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকেও ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবি ক্রমাগত বাড়ছে। দেশটিকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার প্রস্তাবে ভোট আয়োজনের পথে হাঁটছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা উয়েফাও। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সংবাদসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উয়েফার ২০ সদস্যের নির্বাহী কমিটির বেশিরভাগই ইসরায়েলকে নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন দিতে পারেন। সেই সিদ্ধান্ত হলে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে না ইসরায়েল জাতীয় দল ও তাদের বিভিন্ন ক্লাব। এর আগে রাশিয়ার মতো ইসরায়েলকেও কেন নিষিদ্ধ করা হবে না এমন প্রশ্ন উঠেছিল। উয়েফার নিষেধাজ্ঞা পেলে একই ভাগ্য বরণ করবে দখলদার রাষ্ট্রটিও।
দুই সপ্তাহ পর নরওয়ে ও ইতালির বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ রয়েছে ইসরায়েলের। নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত এলে তারা বিশ্বকাপ বাছাইয়েও খেলতে পারবে না। যদিও উয়েফার বাইরে বিশ্ব ফুটবল নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার হাতে। সংস্থাটি ইসরায়েলকে নিষিদ্ধ করবে কি না তা অনিশ্চিত। ২০২৬ বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর। ট্রাম্পের সঙ্গে ইসরায়েলের সখ্যতা তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে, আসন্ন বিশ্বকাপ আয়োজনের অনুমতি নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে খেলোয়াড় ও সমর্থকদের ভিসা প্রক্রিয়ায় ট্রাম্প প্রশাসনের সমর্থনকেই সফল টুর্নামেন্ট আয়োজনের অন্যতম শর্ত হিসেবে দেখা হচ্ছে। ফলে বর্তমানে ফিফার নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের স্বার্থকেও বিবেচনা করা হবে। ইতোমধ্যে এপিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলকে বিশ্বকাপ থেকে নিষিদ্ধ করার যেকোনো প্রচেষ্টা ঠেকানোর চেষ্টা করবে তারা।
আগামী সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ফিফার ৩৭ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে। যেখানে উয়েফার প্রতিনিধি রয়েছেন আটজন। তাদের ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া বা পরিকল্পনা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ফিফা। ফিফা সভাপতি বর্তমানে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আলোচনাসভায় অংশ নিতে গিয়ে ট্রাম্প টাওয়ারে অবস্থান করছেন। যেখানে রয়েছে ফিফার অফিস।
এর আগে ১৪ সেপ্টেম্বর স্পেনে এক লাখ ‘প্রো-প্যালেস্টিনিয়ান’ (ফিলিস্তিনপন্থী) মানুষ সাইক্লিংয়ের মাধ্যমে বিক্ষোভে নেমেছিল। কিন্তু ‘স্প্যানিশ ভুয়েল্টা’ নামের সেই সাইক্লিং ট্যুর চূড়ান্ত ধাপে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উভয়পক্ষের সংঘর্ষ বাধে সেখানে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে খেলার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইভেন্টেও ইসরায়েলকে বাইরে রাখার দাবি তুলেছেন স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। তার প্রশ্ন– ‘রাশিয়াকে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় নিষিদ্ধ করা হলে, ইসরায়েলকে কেন নয়? একইভাবে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ম্যাচে গ্যালারিতে ইসরায়েলকে নিষিদ্ধের দাবি সম্বলিত দাবি তুলতে দেখা যায়।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)