বৃহঃস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
সুনামগঞ্জে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষে দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সকাল থেকে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধে শিক্ষার্থীরা বাসের ফিটনেস ও লাইসেন্স যাচাই করতে শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধিকাংশ বাসেরই কাগজপত্র ছিল না বা মেয়াদোত্তীর্ণ।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ঘাতক চালক গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা কী তাহলে মরার পরও বিচার পাব না?
শিক্ষার্থীরা ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, যদি দায়ী চালক ও মালিককে গ্রেপ্তার না করা হয় এবং ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দেওয়া হয়, তাহলে আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে শহরে ফেরার পথে বাহাদুরপুর এলাকায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই মারা যান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা জাহান খুশী (১৭) এবং আরেক যাত্রী শফিকুল ইসলাম (৫০)। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে মৃত্যু হয় সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্নেহা চক্রবর্তীর (১৮)। এ ঘটনায় আহত আরও দুই যাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শিক্ষার্থী তাকবিল হোসেন বলেন, আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম যেন তারা ফিটনেসবিহীন বাসগুলো আটক করে। কিন্তু পুলিশ কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখেছে। বাধ্য হয়ে আমরাই বাসগুলোর কাগজপত্র যাচাই করি— কিন্তু একটাও ঠিক পাইনি। এসব বাস যেন ঘাতক যন্ত্রে পরিণত হয়েছে।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। আমরা নিজেরাও নিরাপদ সড়ক চাই। যত দ্রুত সম্ভব তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।
শিক্ষার্থীদের দাবি, এ দুর্ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার ফল। তারা অবিলম্বে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর আহ্বান জানান।
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)