রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
চলমান এইচএসসি পরীক্ষার বাংলা দ্বিতীয় পত্রের খাতায় শিক্ষার্থীদের দিয়ে বৃত্ত পূরণ করানোর অভিযোগে এক পরীক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷ একইসঙ্গে বিষয়টি পরীক্ষা পরিচালনায় গাফিলতি ও নৈতিকতাবিরোধী কার্যকলাপ হিসেবে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
রোববার (২০ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, অভিযুক্ত পরীক্ষকের নাম (শিক্ষক) মো. রাকিবুল হাসান। তিনি গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার আনসার ভিডিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজে কর্মরত আছেন৷ একইসঙ্গে তিনি বাংলা বিষয়ের প্রভাষক।
তাকে পাঠানো নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলা দ্বিতীয় পত্র (বিষয় কোড ১০২) পরীক্ষার উত্তরপত্র শিক্ষার্থীদের দিয়ে বৃত্ত পূরণ করানো হয়েছে। ওই ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রাথমিক তদন্তে তা সত্য প্রমাণিত হয়। এতে বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ার পাশাপাশি পরীক্ষার্থীদের মনে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, পরীক্ষার উত্তরপত্র প্রধান পরীক্ষক বা পরীক্ষক ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তি, শিক্ষার্থী কিংবা পরিবারের সদস্য দিয়ে বৃত্ত ভরাট বা মূল্যায়ন করানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই অভিযুক্ত পরীক্ষকের বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আগামী ৫ (পাঁচ) কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি জেলা প্রশাসক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিবের একান্ত সচিব, বোর্ড চেয়ারম্যানের একান্ত সচিব এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে অনুলিপি আকারেও পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, পাবলিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা জারি করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা। এতে বলা হয়েছে, খাতা মূল্যায়নে কোনো ধরনের গাফিলতি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষকের ২ বছরের জেল বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে৷
ডিএস /সীমা
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)