শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২


১০ বছর আগের মতো করে ফিরছে চিকুনগুনিয়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা

স্বাস্থ্য ডেস্ক

প্রকাশিত:২৪ জুলাই ২০২৫, ১০:৪০

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

ঢাকাসহ প্রায় সারা দেশেই রয়েছে কম-বেশি ডেঙ্গুর প্রকোপ। মশাবাহিত এই রোগ প্রাণঘাতীও হয়ে ওঠে মাঝেমধ্যে, তাই ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই।

মশবাহিত আরও একটি রোগ আছে যেটি প্রাণঘাতী নয় তবে জ্বর-পরবর্তী সময়ে গিঁটের ব্যথায় ভুগতে হয়। ২০০৫ সালে বিশ্বের নানা দেশে আতঙ্কের কারণ হয়ে উঠেছিল ডেঙ্গুর তুলনায় উপেক্ষিত আরও এক মশাবাহিত রোগ, যার নাম চিকুনগুনিয়া।

চিকুনগুনিয়ার চিকিৎসায় কমতি থেকে গেছে বিস্তর। আর সে কারণেই আবার মাথাচাড়া দিয়েছে চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস— সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)।

চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ মাঝে কমেছিল। কিন্তু এখন সে ভাইরাস ফিরে এসেছে বলে সতর্ক করেছে হু।

আফ্রিকায় এই ভাইরাসের খোঁজ প্রথম মিলেছিল। চিকুনগুনিয়ার ভাইরাসের বাহক হলো স্ত্রী এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস অ্যালবোপিক্টাস মশা। মশার লালাবাহিত হয়ে মানুষের শরীরে ঢোকে। অস্থিসন্ধিতে ভয়ানক ব্যথা হয় রোগটি হলে। গিঁটে গিঁটে
যন্ত্রণা কাবু করে ফেলে। অনেকে আবার বলেন, অস্থিসন্ধির জ্বর। চিকুনগুনিয়াতেও রোগী সারা শরীরে অস্বস্তি অনুভব করেন। গায়ে ও মুখে লাল র‌্যাশ বেরিয়ে যায়।

ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস দমনে কিন্তু কোনো ওষুধই নেই। টিকাও নেই। মূলত উপসর্গের মোকাবিলা করাটাই চিকিৎসা। কিন্তু এ রোগে জ্বরের দেড়-দু’বছর পরেও চলতে পারে ব্যথার প্রকোপ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ১১৯টি দেশের প্রায় ৫৬০ কোটি মানুষ বিপদে। তাই মশাবাহিত যে কোনও রোগ থেকেই সতর্ক থাকা খুব জরুরি। দরকার শুধু রোগের সঠিক শনাক্তকরণ এবং ঠিক রোগের ঠিক চিকিৎসা। সঙ্গে অবশ্যই মশারির নিত্য ব্যবহার।

ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সাথে যুক্ত ইউরোপ এবং অন্যান্য মহাদেশে এই রোগের নতুন প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে, দুই দশক আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের মহামারির পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

জেনেভায় সাংবাদিকদের ডব্লিউএইচওর মেডিকেল অফিসার ডায়ানা রোজাস আলভারেজ বলেন, ১১৯টি দেশের ৫.৬ বিলিয়ন মানুষ এই ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে, যা উচ্চ জ্বর, গিঁটে ব্যথা এবং দীর্ঘমেয়াদী অক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে।+

তিনি বলেন, আমরা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি। ২০০৪-২০০৫ সালের মহামারির সাথে সাদৃশ্য রয়েছে এবারও, তখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আগে মূলত ছোট দ্বীপ অঞ্চলগুলোতে ৫ লাখের মতো মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।

এবারের প্রকোপ শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের শুরুর দিকে। লা রিইউনিয়ন, মায়োট এবং মরিশাসসহ এর আগেও আক্রান্ত ভারত মহাসাগরের দ্বীপগুলোতেই এবারও প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।

রোজাস আলভারেজ বলেন, লা রিইউনিয়নের জনসংখ্যার আনুমানিক এক-তৃতীয়াংশ ইতিমধ্যেই সংক্রমিত হয়েছে। ভাইরাসটি এখন মাদাগাস্কার, সোমালিয়া এবং কেনিয়ার মতো দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে এবং ভারতসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতেও মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে ভাইরাসটি।

সূত্র : রয়টার্স ও আনন্দবাজার।

ডিএস /সীমা

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:০০ ভোর
যোহর ১২:০৫ দুপুর
আছর ০৪:৪৪ বিকেল
মাগরিব ০৬.৪৯ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১০ রাত

শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫