বৃহঃস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ছবি সংগৃহীত
পাকিস্তানের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিন্ধে ভূমিকম্পের সময় হৈচৈ-হট্টগোলের ফাঁকে কারাগার থেকে পালিয়েছেন ২ শতাধিক কয়েদি। সোমবার দিবাগত রাতে সিন্ধের রাজধানী করাচির মালির কারাগারে ঘটেছে এই ঘটনা।
রোববার সকাল থেকে সোমবার সারা রাত দফায় দফায় ভূমিকম্প হচ্ছে করাচি এবং তার আশপাশের এলকায়। এসব ভূমিকম্পের মাত্রা অবশ্য বেশি ছিল না— ৩ দশমিক ২ থেকে ৩ দশমিক ৯ এর মধ্যে। তবে একের পর এক কম্পণের ধাক্কা করাচি জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানের ভূতত্ব গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, রোববার সকাল থেকে সোমবার রাত পর্যন্ত মোট ১৯ বার ভূমিকম্প হয়েছে করাচিতে।
মালির কারাগারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে ভূমিকম্পের সময় কারাগারের কয়েদিদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলছিল। এ সময় অনেকটা আকস্মিভাবেই কারারক্ষীদের সঙ্গে সংঘতা বেঁধে যায় কয়েদিদের এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কারাগার থেকে পলায়ন করেন ২১৩ জন কয়েদি।
কারাগারসূত্রে জানা গেছে, নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হামলা করেছে মূলত কারাগারের ৪ ও ৫ নম্বর সার্কেলের কয়েদিরা। যারা পলায়ন করেছেন, তাদেরও অধিকাংশ এই দুই সার্কেলের সেলগুলোতে থাকতেন।
সংঘাত-ধস্তাধস্তির সময় কারারক্ষী বাহিনীর গুলিতে একজন কয়েদি জীবন হারিয়েছেন। অন্যদিকে কয়েদিদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন একজন কারারক্ষী।
মালির কারাগারের সুপারিন্টেডেন্ট আরশাদ শাহ জিও নিউজকে জানিয়েছেন, পালিয়ে যাওয়া এই কয়েদিদের ধরতে পুলিশ, সীমান্তরক্ষী বাহিনী রেঞ্জার্স, আধা সামরিক বাহিনী ফ্রন্টিয়ার কর্পস, স্পেশাল সিকিউরিটি ইউনিট এবং র্যাপিড রেসপন্স ফোর্স (আরআরএফ) সদস্যদের সমন্বয়ে একটি চৌকশ দল গঠন করা হয়েছে এবং দলটি অভিযানও শুরু করেছে।
অভিযানে ইতোমধ্যে ৮০ জন কয়েদিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি ১৩৩ পলাতক কয়েদিকেও শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছেন আরশাদ।
মালির কারাগারের বর্তমানে মোট কয়েদির সংখ্যা ৬ হাজার ২২ জন। সিন্ধ রাজ্য সরকারের আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রী জিয়া-উল-হাসান লাঞ্জার সোমবারের ঘটনাকে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় কয়েদি পালানোর ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।
সূত্র : জিও নিউজ
আপনার মতামত দিন:
(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)