শনিবার, ৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২


ইরান হামলার ১২ দিনে গাজায় শত শত বোমা ফেলেছে ইসরাইল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:৪ জুলাই ২০২৫, ২২:০৮

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরতার আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। জানা যায়, গত মাসে ইরানে হামলার সময় গাজায় শত শত বোমা ফেলেছে ইসরাইল। ইসরাইলি বিমানবাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল টোমার বার বাহিনীর সব স্কোয়াড্রনে এই উদ্যোগটি সম্প্রসারণ এবং এটিকে একটি প্রোটোকল করার আদেশ দিয়েছিলেন। নির্দেশনা মোতাবেক ১৩ থেকে ২৪ জুন ১২ দিনের প্রতিদিনই ডজন ডজন যুদ্ধবিমান ইরানে হামলা চালিয়ে ফেরার পথে অব্যবহৃত বোমাগুলো ফেলত গাজা উপত্যকায়। অবরুদ্ধ জনপদে দুবছর ধরে চলা এ হামলা শিগগিরই বন্ধ হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই হামাস-ইসরাইলের ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি সমঝোতাটি আশার আলো দেখার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। জেরুজালেম পোস্ট।

ইসরাইলি বিমানবাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার টাইমস অব ইসরাইল জানিয়েছে, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার জন্য পাঠানো ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো কেবল আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত ছিল না, বরং আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য অস্ত্রও ছিল।

অভিযান শেষ করার পর কিছু পাইলট গাজার যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণকক্ষের দিকে ফিরে যেতেন এবং উত্তর গাজা উপত্যকা ও দক্ষিণ খান ইউনিস গভর্নরেটে দখলদার বাহিনীকে ‘সহায়তা’ করার জন্য অব্যবহৃত বোমা ফেলে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এতে আরও জানানো হয়, ওই সময় পাইলটদের পরামর্শকে স্বাগত জানানো হয়েছিল এবং একপর্যায়ে এটি ‘নিয়মিত হয়ে ওঠে’।

ইসরাইলি বিমানবাহিনীর একজন কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘নতুন করে উড্ডয়নের পর হামলা চালানোর পরিবর্তে, যেসব বিমান ইতোমধ্যেই আকাশে ছিল, তারাই অভিযান পরিচালনা করেছে।’ ইসরাইলের সামরিক বাহিনীও স্বীকার করেছে যে গত মাসে ইরানের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের সময় গাজায় ভারী বিমান হামলা চালানো হয়। তবে গাজায় হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতিও দোরগোড়ায় চলে এসেছে। দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরাইল প্রয়োজনীয় শর্ত মেনে নিয়েছে, এ কথা আগেই জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার তার ট্রুথ সোশ্যালের পোস্টে জানান, গাজায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে হামাসের প্রতিক্রিয়া সম্ভবত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে।

গাজার নিয়ন্ত্রণ নিতে চান কি না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, গাজা উপত্যকার মানুষের জন্য নিরাপত্তা চান তিনি। আমি চাই গাজার মানুষ নিরাপদ থাকুক। তারা জাহান্নামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির শেষ সীমান্তে এসেও ইসরাইলকে বিশ্বাস করতে পারছে না হামাস। ‘মার্কিন সমর্থিত নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব যুদ্ধের অবসান ঘটাবে’-এমন নিশ্চয়তা চাইছে হামাস।

বৃহস্পতিবার হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, সংগঠনটি এমন স্পষ্ট নিশ্চয়তা চায় যে যুদ্ধবিরতি শেষ পর্যন্ত যুদ্ধের অবসান ঘটাবে। দুজন ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে এখনো কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। শুক্রবার ভোরে এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি নিয়ে অন্যান্য ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা করছে। চলমান এ আলোচনার মধ্যেও গাজায় বর্বর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। ৪৮ ঘণ্টায় ৩০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত খান ইউনিস, গাজা সিটিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন ২৮ জন।

এ নিয়ে ২১ মাসে গাজায় ৫৭ হাজার ১৩০ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল।

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৩:৪৯ ভোর
যোহর ১২:০৩ দুপুর
আছর ০৪:৪৩ বিকেল
মাগরিব ০৬:৫৪ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১৭ রাত

শনিবার ৫ জুলাই ২০২৫