শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৫ আশ্বিন ১৪৩২


কিনতে পারছেন না অনেকে

ভারতে বাংলাদেশি ইলিশের দামে আগুন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত:২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:১৪

ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসছে শুনে খুশি হয়েছিলেন ভারতের কলকাতার মানুষ। তবে বাংলাদেশি মাছের অত্যাধিক দামের কারণে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। যেহেতু মানুষ কিনতে পারছে না, তাই বাংলাদেশ থেকে আর ইলিশ আমদানি করা হবে কি না সে চিন্তাও করছেন আমদানিকারকরা।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।

বৃহস্পতিবার কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশি ইলিশ কেনায় সাধারণ মানুষ আগ্রহ দেখাননি। এরপর গতকাল শুক্রবার লেক মার্কেট, গারিয়াহাট এবং মানিকতলার খুচরা ব্যবসায়ীরা হাওয়ার পাইকারি বাজার থেকে মাত্র ৫ কেজি থেকে ২৫ কেজি করে ইলিশ নিয়েছেন।

এরমধ্যে শোনা যাচ্ছে গুজরাট থেকে ইলিশের বড় একটি চালান আসছে। এতে করে বাংলাদেশি ইলিশের বাজার আরও পড়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা বলছেন গুজরাটের ইলিশ তাদের সাধ্যের মধ্যে থাকবে।

বর্তমানে কলকাতায় বাংলাদেশের এক কেজির বেশি একটি ইলিশের দাম ২ হাজার রুপি থেকে ২ হাজার ৫০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। যা বাংলাদেশি অর্থে যথাক্রমে ২ হাজার ৮০০ এবং ৩ হাজার ৫০০ টাকার সমান।

অপরদিকে একই সাইজের গুজরাটের ইলিশ খুচরা পর্যায়ে ৮০০ থেকে ১ হাজার ১০০ রুপিতে পাওয়া যাবে।

এছাড়া মিয়ানমার থেকে আসা হিমায়িত ইলিশও প্রস্তুত আছে। প্রয়োজন হলে এগুলো বাজারে ছাড়া হবে। এ ইলিশগুলো ১ হাজার ৫০০ রুপিতে পাওয়া যাবে।

কলকাতার মাছ আমদানি অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আনোয়ার মাসুদ টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেছেন, “বাংলাদেশি ইলিশের দাম কমবে বলে মনে হয় না। বর্তমানে যে দাম এতে খুব কম মানুষ এ ইলিশ কিনবে।“

আগামী সোমবার পর্যন্ত বাজার পর্যবেক্ষণ করে আর বাংলাদেশি ইলিশ আমদানি করা হবে কি না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আনোয়ার মাসুদ।

গত মঙ্গলবার পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ৫০ টন বাংলাদেশি ইলিশ ভারতে যায়। এরপর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত আর মাত্র ২০ টন ইলিশ ঢুকেছে।

অমর দাস নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বলেছেন, “ডায়মন্ড হারবার থেকে যদি আমি ভালো সাইজের মাছ পাই তাহলে আমি ১০০ কেজির স্টক কিনতে পারি। কিন্তু এবার আমি মাত্র ২০ কেজি বাংলাদেশি ইলিশ নিয়েছি। যখন ক্রেতারা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না তখন এই ইলিশ মজুদ করে তো কোনো লাভ নেই।”

মানিকতলার রাজু দাস বলেছেন, “বাংলাদেশি মাছের গঠন যদিও ভালো। কিন্তু এগুলো আকারে ছোট এবং দাম অনেক বেশি। যদি বড় মাছের ক্ষেত্রে এমন দাম হতো তাহলে ঠিক ছিল। ডায়মন্ড হারবারের মাছ যদি থাকে বাংলাদেশি মাছের কোনো ক্রেতাই থাকবে না।”

তবে তা সত্ত্বেও কলকাতার অনেক মানুষের বাংলাদেশের ইলিশের প্রতি আলাদা টান আছে। তাদের একজন আয়ুস্মান মুখার্জি। তিনি মাছ বিক্রেতাকে আগে থেকেই বলে রেখেছিলেন তাকে যেন বাংলাদেশি মাছ দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার ২ হাজার ৫০ রুপি দিয়ে একটি ইলিশ কিনেছেন তিনি।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:৩২ ভোর
যোহর ১১:৫৩ দুপুর
আছর ০৪:১৬ বিকেল
মাগরিব ০৬.০১ সন্ধ্যা
এশা ০৭:১৩ রাত

শনিবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫