শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২


বাবা-মায়ের সঙ্গে ইংলিশ মিডিয়ামের সেই মেয়ের করা মামলা খারিজ

আদালত প্রতিবেদক

প্রকাশিত:২৪ জুলাই ২০২৫, ১৫:২০

ছবি সংগৃহীত

ছবি সংগৃহীত

শারীরিক ও মানসিক হেনস্তা থেকে নিজের সুরক্ষা চেয়ে বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মেয়ে ইংলিশ মিডিয়ামের সেই শিক্ষার্থী মেহরীন আহমেদের (১৯) মামলা খারিজ করা হয়েছে।

মেয়ে ও বাবা-মায়ের মধ্যে পারিবারিকভাবে মধ্যস্থতার আবেদন করায় এ আদেশ দেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মামলার ধার্য তারিখে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে হাজির হন মেহরীন ও তার বাবা-মা।

এরপর মেহরীনের পক্ষে আইনজীবী সোমায়দাদ শাহরিয়া ফিদা ও বাবা-মায়ের পক্ষে আইনজীবী আবুল হোসেন আদালতে বলেন, আমরা পারিবারিকভাবে বিষয়টি মধ্যস্থতা করতে আগ্রহী। শুনানি শেষে আদালত মামলাটি খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে দুপক্ষকে পারিবারিকভাবে মধ্যস্থতা করতে আদেশ দেন।

মেহরীনের পক্ষের আরেক আইনজীবী ইসফাকুর রহমান গালিব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুপক্ষ থেকে মধ্যস্থতা করতে আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন।

এ আইনজীবী আরও বলেন, তবে এই ধরনের ঘটনা আমাদের সমাজের জন্য সতর্কতা। সন্তানকে সঠিকভাবে সময় না দিলে, সামাজিক ও নিজ ধর্মীয় শিক্ষা না দিলে অভিভাবকদের সঙ্গে একটা সময় গিয়ে সন্তানদের দূরত্ব এত বেশি তৈরি হয় যে, তা আদালতে এসে নিষ্পত্তি করতে হয়। তাই এ ধরনের সমস্যা এড়ানোর জন্য সঠিক প্যারেন্টিং করতে হবে। এই ঘটনার পর অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের লালনপালন নিয়ে নতুন করে ভাবছেন। শুধু ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ালে যে সন্তান মানুষ হবেন, এমন নয়। প্রতিটি শিশুর প্রথম শিক্ষক এবং রোল মডেলও তাদের পিতামাতা।

এর আগে গত ২২ জুন বাবা নাসির আহমেদ ও মা জান্নাতুল ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ এনে নিজের সুরক্ষা চেয়ে একই আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মেহরীন। এরপর ১০ জুলাই এ মামলায় আদালতে বাবা-মা ও মেয়ের উপস্থিতিতে আদালতে শুনানি হয়। এদিন আদালতে মেহরীন বলেছেন, 'আমি বাবা-মায়ের পাপেট (পুতুল) নই। আমাকে কেন গালি দেবে। আমাকে কেন তারা শারীরিক-মানসিকভাবে হেনস্তা করে। আমি আমার সুরক্ষা চাই।'

এদিকে মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ২৫ মে সন্ধ্যা ৭ টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসায় বাদী মেহরীন আহমেদকে তার মা জান্নাতুল ফেরদৌস ও বাবা নাসির আহমেদ শারীরিকভাবে আঘাত করতে থাকে এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং নিলাফুলা জখম করে। বাদী একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি হওয়ার তারা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ, অপমান ও নির্যাতন করে যাচ্ছেন। তারা প্রতিনিয়ত পরিবারের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র ব্যবহারে বাধা প্রদান করেন।

আরও বলা হয়, পারিবারিক সম্পর্কের কারণে যেসব সম্পদ বা সুযোগ-সুবিধাদি ব্যবহারের অধিকার রয়েছে, তা থেকে তাকে বঞ্চিত করে এবং বৈধ অধিকার প্রয়োগে বাধা প্রদান করে। তারা মৌখিক নির্যাতন, অপমান, অবজ্ঞা, ভীতি প্রদর্শন, অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে তাকে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তারা শারীরিকভাবে তাকে আঘাত করে শারীরিক নির্যাতন করেছে। যার মাধ্যমে সহিংসতা ঘটেছে।

ডিএস /সীমা

সম্পর্কিত বিষয়:

আপনার মতামত দিন:

(মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।)
আরো পড়ুন

সর্বশেষ

জনপ্রিয়

নামাজের সময়সূচি

ওয়াক্ত সময়সূচি
ফজর ০৪:০০ ভোর
যোহর ১২:০৫ দুপুর
আছর ০৪:৪৪ বিকেল
মাগরিব ০৬.৪৯ সন্ধ্যা
এশা ০৮:১০ রাত

শুক্রবার ২৫ জুলাই ২০২৫